সিলেট ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৩৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০১৬
নিউ সিলেট ডেস্ক:::: স্যাটেলাইটের তথ্য ব্যবহারের মাধ্যমে কলেরা রোগের পূর্বাভাষ মডেল আবিষ্কার এবং সফল পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. শফিকুল ইসলাম ও তার সহকর্মীদের ‘প্রিন্স সুলতান বিন আব্দুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ফর ওয়াটার’ ক্রিয়েটিভিটি পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
স্যাটেলাইটে পাওয়া ক্লোরোফিল ডেটা ব্যবহার করে শফিকুল ইসলাম ও তার দল বাংলাদেশে কলেরা ছড়িয়ে পড়ার ৩ থেকে ৬ মাস আগেই তার পূর্বাভাষ দেওয়ার পন্থা উদ্ভাবন করেন। বর্তমানে তারা মডেলটির কার্যকরিতা মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষা করে দেখছেন।
‘প্রিন্স সুলতান বিন আব্দুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ফর ওয়াটার’- এ তাদের নাম ঘোষণা করা হয়। ওয়েবসাইটে আরও আরো বলা হয়, আগামী ২ নভেম্বর নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে এক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হবে। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন ওই আয়োজনে সভাপতিত্ব করবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের টাফটস ইউনিভার্সিটির ড. শফিকুল ও তার দলের পাশাপাশি মেরিল্যান্ড ইউনিভার্সিটির ড. রিটা কলওয়েল ও তার দলকেও সম্মানজনক এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। পুরস্কারের ২ লাখ ৬৬ হাজার ডলার বিজয়ী দল দু’টিকে ভাগ করে দেয়া হবে।
এছাড়াও জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষক ড. পিটার জে ওয়েবস্টার ও তার দলও ক্রিয়েটিভিটি পুরস্কার পাচ্ছেন। সামুদ্রিক আবহাওয়া ও মৌসুমি বায়ু নিয়ে গবেষণার জন্য তাদের এই পুরস্কার দেয়া হবে। তাদের উদ্ভাবিত মডেলের মাধ্যমে সামুদ্রিক আবহাওয়ার তথ্য নিয়ে ২ সপ্তাহ আগেই মৌসুমি বন্যার পূর্বাভাষ পাওয়া সম্ভব।
ওয়েবসাইটে বলা হয়, বিজ্ঞানী ড. রিটা কলওয়েল ও তার সহকর্মীরা স্যাটেলাইট ডেটা ব্যবহার করে প্রথম পূর্ব এশিয়ার জন্য কলেরা প্রাদুর্ভাবের পূর্বাভাস মডেল তৈরি করেন। তারাই বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির সাথে সাথে সংক্রামক ব্যাধির সম্পর্কের বিষয়টি প্রথম দেখান।
আর সেই পদ্ধতি ব্যবহার করে ড. শফিকুল ইসলাম ও তার সহকর্মীরা বঙ্গোপসাগরে ক্লোরোফিলের মাত্রার সঙ্গে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাবের যোগাযোগ খুঁজে পান। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার স্যাটেলাইট ব্যবহার করে তার তথ্যের ভিত্তিতে তার দল একটি মডেল তৈরি করেন, যার মাধ্যমে ৩ থেকে ছয় মাস আগেই বাংলাদেশে কলেরা প্রাদুর্ভাবের পূর্বাভাষ দেওয়া যায়।
ড. শফিকুল ইসলাম বর্তমানে টাফটস ইউনিভার্সিটির নির্মাণ ও পরিবেশ প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি ওয়াটার ডিপ্লোমেসি প্রোগ্রামের পরিচালকের দায়িত্বে আছেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং পানি উন্নয়ন পরিকল্পনার পরামর্শক হিসেবেও কাজ করছেন।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
EDITOR & PUBLISHER:
JUMAN AHMED
OFFICE : 4/4 SURMA MARKET
SYLHET
EMAIL:newsylhet2016@gmail.com
WEB:www.sylheterkhobor.com
MOB:01712-298815
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি