সিলেট ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০১৬
নিউ সিলেট ডেস্ক::: দীর্ঘদিন পর মাঠের রাজনীতিতে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে ঢাকার রাজপথে নামার প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে বিএনপি। এর আগে বেশ কবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলেও এবার ‘সিপাহী বিপ্লব দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীতে শোডাউনের পরিকল্পনা করছে দলটি। সমাবেশ আয়োজনের জন্য অনুমতি চেয়ে ইতিমধ্যে প্রশাসনে আবেদন করা হয়েছে। ৭ মার্চ বিপুল জনসমাগম করতে সার্বিক প্রস্তুতিও শুরু করেছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা।
নেতারা আশা করছেন, এবার সমাবেশের অনুমতি মিলবে। সরকার তাদের সহযোগিতা করবে। তবে শেষ পর্যন্ত নানা অজুহাতে প্রশাসন অনুমতি নাও দিতে পারে এমন শঙ্কাও আছে নেতাকর্মীদের মধ্যে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সমাবেশের অনুমতি পেলে বেশ ভালো লোকসমাগম ঘটাবেন তারা। অনুমতি পাওয়া নিয়ে শঙ্কাও থাকলেও তারা শেষ পর্যন্ত সমাবেশ করার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
এদিকে সমাবেশ নিয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের আগেভাগে হুংকারকে অতিকথন হিসেবে দেখছেন কেউ কেউ। তারা বলছেন, শুরুতে গড়িমসি করলেও একদম শেষ মুহূর্তে অনুমতি দিতে পারে সরকার। সে ক্ষেত্রে বিপুল উপস্থিতিসহ সুষ্ঠুভাবে সম্মেলন প্রস্তুত করতে বেশ বেগ পেতে হবে।
যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘অনুমতি না দেয়ার ব্যবস্থা নেতারাই করে দিচ্ছেন। কারণ আগেভাগে এমন কথা বললে সরকারের টনক নড়ে, ফলে অনুমতি পাওয়া যায় না। অতীতে এমন অনেক রেকর্ড আছে।’
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় বড় ধরনের সমাবেশ করতে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দল। কিন্ত পুলিশের অনুমতি না মেলায় তা সম্ভব হয়নি। সবশেষ গত ১ সেপ্টেম্বর দলের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৩০ আগস্ট রাজধানীতে শোভাযাত্রা করতে চেয়েছিল বিএনপি। পুলিশ অনুমতি না পাওয়ায় পরে ৩১ আগস্ট করার কথা বললে তাতেও অনুমতি দেয়নি পুলিশ। পরে ১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশ করে বিএনপি। এ ছাড়া বছরের শুরুতে ৫ জানুয়ারি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত পরিসরে ও নানা শর্তের বেড়াজালে সমাবেশ করে দলটি।
গত মার্চে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কাউন্সিল করতে চাইলেও অনুমতি মেলেনি প্রশাসনের। সে নিয়ে তখন জল্পনা-কল্পনার একশেষ হয়েছে।
বিএনপি মনে করে, এবার বেশ কিছু জাতীয় ইস্যু নিয়ে সমাবেশ করার সুযোগ আছে তাদের। এর মধ্যে অন্যতম হলো নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন, রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, আবার গ্যাসের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা। এসব সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলের বক্তব্য তুলে ধরতে চান।
এ ছাড়া বিএনপির বিরুদ্ধে সরকারসহ বিরোধী মহলের অভিযোগ, দলটি জাতীয় ইস্যুতে মাঠে নামে না। তাদের অস্তিত্ব-সংকটেরও প্রশ্ন তুলছেন প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের নেতারা।
এমন অভিযোগ ও বক্তব্যেরও জবাব দিতে চায় দলটি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীসহ বিএনপির সমালোচকরা বলেন, বিএনপি নিঃশেষ হয়ে গেছে। বিএনপি আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। সমাবেশ করে সমালোচকদের এমন অপপ্রচার ভুল প্রমাণ করা হবে।
এদিকে শনিবার ঢাকা মহানগরের যৌথ সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ৭ নভেম্বর রাজধানীতে স্মরণকালের সবচেয়ে সেরা সমাবেশ হবে। তারা সরকারকে সমাবেশের অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানান।
অনুমতি পেলে সমাবেশে সর্বোচ্চসংখ্যক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছে দলের হাইকমান্ড। ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে নেতাকর্মীদের সমাবেশে উপস্থিত করার জন্যও বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী দায়িত্ব্প্রাপ্তরা নিজ নিজ ইউনিট-প্রধানকে ইতিমধ্যে কেন্দ্রের নির্দেশনা পৌঁছে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটওয়ারী বলেন, ‘সমাবেশে ছাত্রদলের উপস্থিতি থাকবে সবচেয়ে বেশি। কেন্দ্র থেকে এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা সেই অনুযায়ী সবাইকে জানিয়ে দিয়েছি।’
যুবদল সূত্রে জানা গেছে, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব সমাবেশে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ইউনিট প্রধানদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।
৭ নভেম্বরের সমাবেশে ঢাকা মহানগর ছাড়াও আশপাশের জেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াস উদ্দিন মামুন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সমাবেশের বিষয়ে বলেন, ‘সমাবেশের অনুমতি না পাওয়ার কোনো কারণ নেই। কিন্তু এদের তো বিশ্বাস করা যায় না। তবে সময়মতো অনুমতি দেয়া হোক, দেখবেন উপস্থিতি কেমন হয়।’
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
EDITOR & PUBLISHER:
JUMAN AHMED
OFFICE : 4/4 SURMA MARKET
SYLHET
EMAIL:newsylhet2016@gmail.com
WEB:www.sylheterkhobor.com
MOB:01712-298815
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি