উপজেলা থেকে কেন্দ্রীয় নেতা

প্রকাশিত: ১২:১৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০১৬

উপজেলা থেকে কেন্দ্রীয় নেতা

নিউ সিলেট ডেস্ক:::   রাজনীতি তার রক্তে। সেই ছাত্র জীবন থেকে শুরু। জিয়াউর রহমানের আমলে একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও হয়েছিল তার। পরে আন্দোলনের মুখে বাতিল হয় সে সাজা। এক পর্যায়ে হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি।
পরের পরিচয় আওয়ামী লীগ নেতা। পড়াশোনা শেষে ফিরে যান নিজ এলাকা বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে। আইন পেশার পাশাপাশি চালিয়ে যান রাজনীতি। ৯০ দশকের শুরুতে হন মোড়েলগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ২০০৩ সালে পান উপজেলা সভাপতির পদ। উপজেলা পর্যায়ের এই নেতা এবার চার দশকের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি পেলেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান হয়েছে তার।
এই নেতার নাম আমিরুল আলম মিলন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় কমিটিতে নিজের নাম দেখে অভিভূত মিলন| তিনি বলেন, ‘জননেত্রীর আমাকে যে মূল্যায়ন করেছেন তাঁর প্রতিদান দিতে আমি জীবন দিয়ে কাজ করবো।’
১৯৭২ সালে মোড়লগঞ্জের এসএম কলেজের পড়ার সময় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে হাতেখড়ি মিলনের। এরপর তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৭৯-১৯৮১ সাল পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ওবায়দুল কাদের। মিলন পরে কাদের-মজনুন কমিটির জাতীয় পরিষদ সদস্য হন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দায়িত্ব নিয়েই তিনি তৎকালীন সামরিক সরকারবিরোধী আন্দোলনে সামনের সারিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তখন এক হত্যা মামলায় কোর্ট মার্শালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। পরে আন্দোলনের মুখে মওকুফ করা হয় সে সাজা।
গত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনে মোড়েলগঞ্জ আসন থেকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নও চেয়েও পাননি মিলন। ওই আসন থেকে মনোনয়ন পেয়ে সংসদ নির্বাচিত হন মোজ্জাম্মেল হোসেন। একই এলাকা থেকে উঠে এসেছেন আরেক নেতা, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ।
কিশোর বয়সেই মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন আমিরুল। তিনি বরিশালের বাকেরগঞ্জ এলাকায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। এখন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি- বাগেরহাট জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
মোড়লগঞ্জ উপজেলা যুবলীগৈর যুগ্ম আহ্বায়ক এইচ এম তাজিনুর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা যে তৃণমূলের রাজনীতির বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়মিত রাখেন তা আবারও প্রমাণ হল। মিলন ভাইকে মূল্যায়নের মাধ্যমে আমরাও উৎসাহ হয়েছি। তৃণমূলে দল আরও গতিশীল হবে।’
আমিরুল আলম মিলন বলেন, ‘সম্মেলনের মাধ্যমে জননেত্রী তাঁর আগামী দিনের পথচলার সহকর্মীদের নির্বাচন করেছেন। আর সেই সহকর্মী হিসাবে আমাকে স্থান দেওয়ায় নিজেকে গর্বিত মনে করছি।



This post has been seen 375 times.

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১