সিলেট ২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:১৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩, ২০১৬
নিউ সিলেট ডেস্ক :::: মিরাজ খুলনা থেকে গ্রামের বাড়ি বরিশালে একটা টিভি পাঠিয়েছিলেন তার দাদি জাবেদা বিবিকে। কিন্তু বিদ্যুতের অভাবে দাদি সেই টিভিতে মিরাজের খেলা দেখতে পারেন না। বৃদ্ধার অভিযোগ, ১২ হাজার টাকা ঘুষ দিলেও এখনো বিদ্যুৎ আসেনি তার ঘরে।
‘ঘরে বসে টিভি দেখমু কেমনে? আমার ঘরেতো কারেন্ট (বিদ্যুৎ) নাই। ১২ হাজার ট্যাকা দিয়েও বিদ্যুৎ পাইনি। উল্টো ধমক পাইছি।’ বলেন জাবেদা বিবি।
গতকাল পড়ন্ত দুপুরে কথা হয় জবেদা বিবির সঙ্গে। গর্বভরে বললেন, আমার হাতেই ওর জন্ম।
তারপর নিজে থেকে নাতির কথা শুরু করলেন, ‘যখন সে খুলনার বাড়িতে যেত তখন কাছে পাওয়াই মুশকিল ছিল। খালি বল আর ব্যাটের পিছনে ছুটতো।’
জানালেন, তার দুই পুত্র জালাল হোসেন তালুকদার ও জাকির হোসেন তালুকদার। বড় পুত্রের বড় ছেলে মেহেদী হাসান মিরাজ। যখন দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে তখন মিরাজ তার বোন ও মায়ের সাথে পিতার কর্মস্থল খুলনাতে চলে যায়। তারপর প্রায়ই আসতো আউলিয়াপুর।
জবেদা বিবি বলেন, এই ঈদ ও কুরবানী এখানেই করেছে। স্কুলে যখন ছুটি পেত ছুটে আসতো আউলিয়াপুর। ওর বাপ-মায়ের সামনে বসে খেলাধুলা করতে পারতো না। তারা সবসময় লেখাপড়ার চাপ দিত। কিন্ত মিরাজ ক্রিকেট খেলে ব্যাট এনে গুজে রাখতো মায়ের কাপড় পেঁচিয়ে। তবে কখনো কিছুতে অবহেলা করতে দেখিনি তাকে। খেলা ও লেখাপড়া সমান পরিশ্রমে চালিয়েছে।
মাত্র দুদিন আগে মিরাজ মোবাইলে দাদির সাথে তার দাদা দেনছের আলী তালুকদারকে নিয়ে কেঁদেছে।
মিরাজ আফসোস করেন, যদি এই আনন্দের দিনে দাদা বেঁচে থাকতেন!
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
EDITOR & PUBLISHER:
JUMAN AHMED
OFFICE : 4/4 SURMA MARKET
SYLHET
EMAIL:newsylhet2016@gmail.com
WEB:www.sylheterkhobor.com
MOB:01712-298815
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি