নিউ সিলেট ডেস্ক :::::   ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সেনাবাহিনীতে গণহত্যা চালানো হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। তিনি বলেন, এই দিনটিতে কথিত বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন গণহত্যাকে সমর্থন করার সামিল।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রমেশ চন্দ্র মজুমদার অডিটোরিয়ামে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনায় হানিফ এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ।
হানিফ বলেন, ‘বিএনপি নাকি ৭ নভেম্বরকে বিপ্লব দিবস হিসেবে পালন করতে চায়। ৭ নভেম্বর কীসের বিপ্লব হয়েছিল? বিপ্লব হলে একটা আদর্শ থাকতে হয়। কোন আদর্শ দিয়ে সেদিন বিপ্লব হয়েছিল? ওইদিনকে সৈনিক হত্যা দিবস পালন করা উচিত।’
হানিফ বলেন, ‘জিয়াউর রহমান তার ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য নির্বিচারে সেদিন সৈনিকদের হত্যা করেছিল। প্রায় ১২০০ সৈনিককে সেদিন হত্যা করেছিল এটা। তাই এটা আসলে গণহত্যা দিবস। এই দিবস যারা পালন করে তারা আসলে পাকিস্তানের প্রেতাত্মা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে চায়।’
বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সরাসরি সম্পৃক্ততার অভিযোগও করেন হানিফ। তিনি বলেন, ‘জেলখানার মধ্যে যখন জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর জেল কর্তৃপক্ষ একটি মামলা করেছিলেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পরে মামলাটা তুলে নিয়েছিলেন। তিনি নিজে জড়িত না হলে কেন এই মামলা তুলে নেন তিনি? কেন তিনি খুনিদের পুনর্বাসন করেছিলেন? কেন তাদেরকে পুরস্কৃত করেছিলেন?’
অধ্যাপক অধীর চন্দ্র সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরোও বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সহ-সভাপতি আব্দুল বাসেত মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।

This post has been seen 312 times.