ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট কারীদের জন্য আমাদের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’: আইজিপি

প্রকাশিত: ৭:১৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৬, ২০১৬

ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট কারীদের জন্য আমাদের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’: আইজিপি

নিউ সিলেট ডেস্ক :::::   বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের অতি দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনায় আমরা অত্যন্ত মর্মাহত। একটি মহল অপপ্রচার চালিয়ে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে। এ সব ঘটনায় আমাদের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’। সরকারও এ সম্পর্কে অত্যন্ত সজাগ ও তৎপর রয়েছে।
রবিবার দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আইজিপি এসব কথা বলেন।
নাসিরনগরের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে আইজিপি বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসন আপনাদের পাশে রয়েছে। আপনাদের নিরাপত্তা দেয়া আমাদের দায়িত্ব। ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য সব ধর্মের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে প্রতিটি উপজেলা, জেলা এবং বিভাগীয় শহরের সম্প্রীতি কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’ সবাই মিলে সর্বাত্মক ভাবে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ দরকার বলে মন্তব্য করেন আইজিপি।
সভায় উপস্থিত হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান নেতারা দেশের যেকোনো স্থানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ, মাঠপর্যায়ের পুলিশ প্রশাসনকে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সতর্ক ও সজাগ থাকার নির্দেশনা প্রদান, নাসিরনগরের ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের দায়দায়িত্ব নিরূপণ, মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনাসংক্রান্ত মামলাগুলো মনিটরিং করার জন্য পুলিশ সদর দপ্তরে একটি মনিটরিং সেল গঠনেরও দাবি জানান।
আইজিপি গত তিন বছরে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত এ ধরনের মামলার অগ্রগতি তুলে ধরেন। আইজিপি বলেন, সব ধর্মই শান্তি ও সম্প্রীতির কথা বলে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ধর্মীয় অপব্যাখ্যার সৃষ্টি। এ সব ঘটনার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তিনি অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় এসবির অতিরিক্ত আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, অতিরিক্ত আইজিপি ফাতেমা বেগম, ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, এসবির ডিআইজি মাহবুব হোসেন, সিআইডির ডিআইজি ভানুলাল দাস, পিবিআইর ডিআইজি, বনজ কুমার মজুমদার, সিটি এসবির ডিআইজি মল্লিক ফখরুল ইসলাম, মিডিয়া অ্যান্ড প্ল্যানিংয়ের ডিআইজি এ কে এম শহিদুর রহমান, র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল মো. আনোয়ার লতিফ খান, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি শুদ্ধানন্দ মহাথের, সহসভাপতি রনজিত কুমার বড়–য়া ও মহাসচিব ড. প্রণব কুমার বড়ুয়া, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অশোক বড়–য়া, বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জয়ন্ত সেন দীপু, সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার পাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কিশোর রঞ্জন মন্ডল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



This post has been seen 322 times.

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১