গ্যাসের সিস্টেম গেইন করার মাধ্যমে পুকুর চুরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে

প্রকাশিত: ৮:০১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৬, ২০১৬

গ্যাসের সিস্টেম গেইন করার মাধ্যমে পুকুর চুরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে

নিউ সিলেট ডেস্ক  ::::::   গ্যাসের ক্ষেত্রে জনগণকে ঠকানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করে সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, অর্ধেক গ্যাস দিয়ে দ্বিগুণ দাম নেয়া হচ্ছে জনগণের কাছ থেকে। এতে সিস্টেম গেইন করার মাধ্যমে পুকুর চুরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
রবিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে ‘নতুন করে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি না করার ঘোষণার দাবি এবং গ্যাস খাত উন্নয়নে নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে নাগরিক সমাজের পক্ষে সৈয়দ আবুল মকসুদ।
মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, লোকসানের অজুহাতে গ্যাসের ওপর ট্যাক্স-ভ্যাট বসানো হচ্ছে। গ্যাসে ট্যাক্স বসানো হচ্ছে ৫৫ শতাংশ। এর প্রভাব পড়ছে গরিবদের ওপর। বাসাবাড়িতে ৯২ ইউনিট গ্যাসের বিল করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৫ ইউনিট।
নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সরকারি উদ্যোগের সমালোচনা করে সিপিবির সভাপতি সরকারকে সতর্ক করেন, যেদিন গ্যাসের দাম বাড়ানো হবে সেদিন থেকেই হরতাল দেয়া হবে। এটা হালুয়া রুটি বা গদি ভাগাভাগির হরতাল হবে না। দেশের সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে সর্বাত্মক হরতাল করা হবে।
গোলটেবিল বৈঠকে বিশিষ্ট গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, গ্যাসের দামের বিষয়টি রাজনৈতিক নয়, অর্থনৈতিক। গণব্যবহারের জিনিসের দাম বাড়াতে হলে অবশ্যই গণশুনানি করতে হবে।
এই খাতে অপচয়, দুর্নীতি কমানোর তাগিদ দিয়ে আবুল মকসুদ বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের সীমাহীন অপনীতি ব্যবহারের ফলে বিরাট মাথাব্যথার কারণ হয়েছে জ্বালানি খাত।
আবুল মকসুদ বলেন, ‘সরকারের লোকজন মনে করে তারাই সব বোঝে, জনগণ কিছুই বোঝে না। কিন্তু এই ভাবনাটা ঠিক না। গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে সবকিছুরই দাম বাড়বে। এতে সব দিক থেকে ভোগান্তিতে পড়বে জনগণ।’
গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করা হবে জানিয়ে আবুল মকসুদ বলেন, ‘আমার দেশের সম্পদ আমাদের দেশের মানুষ ব্যবহার করবে, এটাই স্বাভাবিক। জনগণের স্বার্থ বিবেচনা করতে হবে, প্রত্যাশা ছাড়া কোনো কিছুই করা উচিত হবে না সরকারের।’
সরকার নিয়ম ভঙ্গ করে গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে দাবি করে অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলেন, ‘গ্যাসের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। অথচ প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৫৬০ কোটি মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। ২০০৫ থেকে ২০১৩ পর‌্যন্ত প্রতি বছরই প্রায় সমপরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে।’ সরকারের সেদিকে নজর দেয়ার পরামর্শ দেন এই অর্থনীতিবিদ।
গোলটেবিল বৈঠকে আলোচনায় আরো অংশ নেন অধ্যাপক এম শামসুল আলম, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাস-ট্রাক মালিক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি রমেশ চন্দ্র ঘোষ প্রমুখ



This post has been seen 360 times.

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১