মোরশেদ খানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

প্রকাশিত: ২:৫০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০১৬

মোরশেদ খানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

নিউ সিলেট ডেস্ক :::::   মানি লন্ডারিং মামলায় বিএনপি নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম. মোরশেদ খান, তার স্ত্রী নাসরিন খান ও ছেলে ফয়সাল মোরশেদ খানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এই রায় দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম জহিরুল হক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শহিদুল ইসলাম খান।
রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৬ সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। আত্মসমর্পণ করলে তাদের জামিনের বিষয়টি আদালতকে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে এই মামলা পুনর্তদন্তের অনুমতি দেওয়া হয়েছে দুদককে। এছাড়া মোরশেদ খানের হংকংয়ের স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ২০১৭ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত জব্দ রাখতে বলা হয়েছে।
গত ১ সেপ্টেম্বর মোরশেদ খানসহ তিনজনের নামে হওয়া মামলার পুনর্তদন্ত বিষয়ে আদেশের জন্য ৯ নভেম্বর ঠিক করেন হাইকোর্ট। ওইদিন আদালতে মোরশেদ খানের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকনুদ্দিন মাহমুদ।
গত ৫ জুন দুদকের চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের আদেশ কেন বাতিল এবং মামলাটি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে মোরশেদ খানসহ তিনজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল। ওই সময় তাদের হংকংয়ের স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংক অ্যাকাউন্টও জব্দের নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, মানি লন্ডরিং নিয়ন্ত্রণ আইনে ২০১৩ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন মোরশেদ খান, তার স্ত্রী নাসরিন খান ও ছেলে ফয়সাল মোরশেদ খানের বিরুদ্ধে মামলা করে। ওই মামলায় ২০১৫ সালের জুলাই মাসে দুদক চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ঘটনায় কোনো মানি লন্ডারিং ‘হয়নি’। ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদন চলতি বছর ১৫ এপ্রিল বিচারিক আদালত গ্রহণ করলে মোরশেদ খান, নাসরিন খান ও ফয়সাল মোরশেদ খান অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, হংকংয়ের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ওই হিসাবটি ২০০৮ সাল থেকে এক প্রশাসনিক আদেশে জব্দ করে রাখে হংকংয়ের পুলিশ। এরপর তারা বাংলাদেশে চিঠি দিয়ে জানায়, নতুন কোনো পদক্ষেপ না থাকলে ওই অ্যাকাউন্ট তারা খুলে দেবে।
এ অবস্থায় দুদক মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নেয় এবং পুনর্তদন্তের জন্য বিচারিক আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়। ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত গত ২ জুন দুটি আবেদনই খারিজ করে দেয়। নিম্ন আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে দুদক হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করে।
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, দুদক চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিলেও তিনি পরে দেখতে পান, অভিযোগপত্র দেওয়ার উপাদান সেখানে ছিল। এ কারণে দুদক কর্তৃপক্ষ পরে পুনর্তদন্তের আবেদন জানায়।
তিনজনের অ্যাকাউন্টে ১৬ মিলিয়ন হংকং ডলার আছে বলে মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়।



This post has been seen 271 times.

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১