মাহবুবে আলম কীভাবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে থাকা নিয়ে রিট

প্রকাশিত: ৬:১৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১০, ২০১৬

মাহবুবে আলম কীভাবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে থাকা নিয়ে রিট

নিউ সিলেট ডেস্ক :::::::   ৬৭ বছর অতিক্রম করার পরও মাহবুবে আলম কীভাবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা হিসেবে বহাল রয়েছেন তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন একজন আইনজীবী। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন করেন।
রিটে বলা হয়, অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ বিষয়ে সংবিধানের ৬৪(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন কোন ব্যক্তি অ্যাটর্নি জেনারেল হবেন। সংবিধানের ৯৬ (১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে কোন বিচারক ৬৭ বৎসর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকবেন।
রিটে বলা হয়, লিগ্যাল রিমেমব্রান্সের ম্যানুয়াল-১৯৬০ এর ক্লজ-২, চ্যাপ্টার ১ অনুযায়ী অ্যাটর্নিদের পদ দুই বছরের জন্য, কিন্ত দুই বছর আগেও তিন মাসের নোটিশ দিয়ে রাষ্ট্রপতি অপসারণ করতে পারেন। কিন্ত ওই আইন লঙ্ঘণ করেও প্রায় আট বছর ওই পদে বহাল আছেন মাহবুবে আলম।
অ্যাটর্নি জেনারেল পদটি সাংবিধানিক উল্লেখ করে রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধান মেলে চলা সকলেরই দায়িত্ব ও কর্তব্য। সাংবিধানিক অন্য সব পদেই নির্ধারিত সময় পরে আর কেউ থাকতে পারেন না। ’
রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে থাকা নিয়ে গত ২১ মার্চ তিনি মাহবুবে আলমকে আইনি নোটিশ পাঠিয়াছিলেন। কিন্ত এই নোটিশের কোনো বক্তব্য না পাওয়া এই রিটটি করা হয়েছে।
চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ হয়েছে।
জানতে চাইলে সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেলের নিয়োগের বিষয়টি সংবিধানে উল্লেখ থাকলেও অবসরের কোনো বয়সসীমা উল্লেখ নেই।
অ্যাটর্নি জেনারেলের অবসরের বিধানের বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি এই বলেন, বিষয়টি তার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ায় এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করবেন না।
২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান মাহবুবে আলম। সেই থেকে তিনি একটানা দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার মেয়াদকালে মানবতাবিরোধী অপরাধসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলা দক্ষতার সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন আদালতে।
মাহবুবে আলম ১৯৭২ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পরের বছর আইন পেশায় নিয়োজিত হন। ১৯৭৫ সালে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে এনরোলম্যান্ট পান। ১৯৮০ সালে তার আপিল বিভাগে তার এনরোলম্যান্ট হয়।
মাহবুবে আলম ১৯৯৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে অ্যানরোলম্যান্ট পান। এর আগে তিনি ১৯৯৮ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ২০০১ সালের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান।
মাহবুবে আলম ২০০৫-২০০৬ সালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হন। এর আগে তিনি ১৯৯৩-৯৪ সালে সমিতির সম্পাদক ছিলেন।



This post has been seen 431 times.

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১