রাজনীতিতে মিথ্যাচার ও শিষ্টাচারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন খালেদা জিয়া: হানিফ

প্রকাশিত: ৪:২৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০১৬

রাজনীতিতে মিথ্যাচার ও শিষ্টাচারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন খালেদা জিয়া: হানিফ

নিউ সিলেট :::::   রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েও বিএনপি কেন সমাবেশ করেনি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই তারা সমাবেশ করেনি।
শুক্রবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ঘটনাপ্রবাহ স্মরণে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছিল বিএনপি। পুলিশ আবেদন নাকচ করে দিলে ৮ সেপ্টেম্বর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি চায় বিএনপি। ওইদিন দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, তাদেরকে এখনও অনুমতি দেয়া হয়নি। পরে ১৩ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে ডিএমপির কাছে আবারো অনুমতি চায় দলটি।
কিন্ত বেলা দেড়টার দিকে ডিএমপির পক্ষ থেকে সেদিনই বেলা দুইটা থেকে বিকাল সাড়ে চারটার মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপিকে সমাবেশ করার সময়সীমা বেধে দেয়া হয়। ডিএমপির এমন অনুমতি দেয়াকে হাস্যকর বলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা তো ১৩ তারিখে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছি। এখন অনুমতি দেয়ার মানে কী?
আজকের সংবাদ সম্মেলনে হানিফ বলেন, ‘রাজনীতিতে মিথ্যাচার ও শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজকে যারা আদর্শ মনে করে, সেই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন খালেদা জিয়া। তারা ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউশনে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে আবেদন করে। সে অনুযায়ী পুলিশ ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউটে সমাবেশের অনুমতি দেয়। কিন্ত বিএনপি থেকে বলা হচ্ছে তারা যেখানে সমাবেশ করতে চায় সেখানে তাদের দেওয়া হচ্ছেনা। এদেশের মিথ্যাচারের যে বড় তালিকা আছে এতে আরেকটি মিথ্যাচার যুক্ত হলো।
হানিফ বলেন, ‘অবৈধভাবে ক্যান্টনমেন্টে যেসব দলের আবির্ভাব তাদের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি প্রত্যাশা করা যায় না। আমি মনে করি দেশের মানুষ অতীতের মতো বিনএপির এই মিথ্যাচারকেও ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখবে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘তারা (বিএনপি) মনে করেছিল পশ্চিমা একটি দেশের নির্বাচনে তাদের পছন্দের বিশেষ ব্যক্তি ক্ষমতায় এলে তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সরকার উৎখাত করে ক্ষমতায় আসবে।
একটি গণমাধ্যমে দেয়া খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎকারের জবাবে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া দাবি করেছেন দেশে ভোটাধিকার নাই, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নাই। কিন্ত আমি বলবো গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পৃথিবীর যেকোনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ফরিদুন্নাহার লাইলী, আবদুস সোবহান গোলাপ, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, আবদুস সবুর, শামসুন নাহার চাঁপা, রোকেয়া সুলতানা, বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, পারভীন জামান কল্পনা প্রমুখ।



This post has been seen 307 times.

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১