হিন্দুদের ওপর আক্রমণ,সম্পত্তি দখল ও দেবালয় ভাঙচুরের দায়ী আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত: ১:৩৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০১৬

হিন্দুদের ওপর আক্রমণ,সম্পত্তি দখল ও দেবালয় ভাঙচুরের দায়ী আওয়ামী লীগ

নিউ সিলেট ডেস্ক :::::   বিএনপির সিনিয়র যু্গ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, এদেশে হিন্দুদের ওপর যত আক্রমণ, সম্পত্তি দখল ও দেবালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য একমাত্র দায়ী আওয়ামী লীগ। ২০০৯ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত তারা ক্রমাগত হামলা চালাচ্ছে।
শনিবার নয়া পল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় সরকারের পদত্যাগও দাবি করেন বিএনপির এই নেতা। সম্মেলনে গত কয়েক বছরে দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর একাধিক হামলার খতিয়ানও তুলে ধরেন তিনি।
রিজভী বলেন, ২০১৪ সালে সাতক্ষীরায় সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি জবরদখলের মদদ দেয় আওয়ামী লীগ নেতা। লালমনিরহাটে হিন্দু পরিবারের ওপর হামলার মামলা না নিয়ে উল্টো আটক করা হয় অভিযোগকারীকে, নেত্রকোনার মদনে মণ্ডপে পূজা কমিটির ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে সংখ্যালঘু পরিবারকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয় আওয়ামী ইউপি চেয়ারম্যান, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা।
রিজভী আরো বলেন, ২০১৩ সালে মুক্তাগাছায় হিন্দু বাড়িতে আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়, সিলেটে মন্দিরে সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করে এক আওয়ামী লীগ নেতা। একই সালে পাবনার সাঁথিয়ায় ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার প্রশ্রয়দাতা হিসেবে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে দেশের মানুষ সোচ্চার হয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, কক্সবাজারের উখিয়া, রামুতে বৌদ্ধ মন্দিরে ব্যাপক হামলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণে তাদের সম্পত্তি দখল, লুটপাট, মঠমন্দির ভাঙচুর, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগসহ সকল অপকর্মের হোতা হচ্ছে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর আশ্রিত লোকেরা।
তিনি আরো বলেন, “সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দুদের ঘরবাড়ি ও মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিবেদনের ক্ষমতাসীনদের সংশ্লিষ্টতা সুষ্পষ্টভাবে উঠে এসে এসেছে। এই ঘটনা যে স্থানীয় এমপি ও মন্ত্রীর কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ সেটি আর কারো জানতে বাকি নেই। মন্ত্রী ছায়েদুল হকের পদত্যাগের দাবিতে রাজধানীসহ সারাদেশ প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছে।”
রিজভী বলেন, “কয়েকদিন আগে গাইবান্ধায় সাঁওতাল পল্লীতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের গুলি ও পিটিয়ে চারজন সাঁওতাল আদিবাসীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই ঘটনা কেবল বর্বরোচিত ও অমানবিকই নয়, এটি শাসকগোষ্ঠীর পশুপ্রবৃত্তির এক নিষ্ঠুর ও নিকৃষ্ট উদাহরণ।”
নিহতদের পরিবার পরিজনকে সমবেদনা জানানোর পাশিপাশি অবিলম্বে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতিকারীদের বিচার দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ শাহজাহান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, মো. মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, সুলতানা আহমেদ প্রমুখ ।



This post has been seen 411 times.

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১