শাহ আমানত বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের সব পুলিশ প্রত্যাহার

প্রকাশিত: ৪:০৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০১৬

শাহ আমানত বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের সব পুলিশ প্রত্যাহার

নিউ সিলেট ডেস্ক :::::  চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে পুলিশের সকল সদস্যকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মানব পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।
ইমিগ্রেশন বিভাগকে বিশেষ শাখা ঢাকার সাংগঠনিক কাঠামোভুক্ত করা হয়েছে। রবিবার থেকে ঢাকা সিটি এসবির সদস্যরা ইমিগ্রেশনের দায়িত্ব পালন করছেন। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, ইমিগ্রেশন বিভাগের নতুন সাংগঠনিক কাঠামোয় শাহ আমানত বিমানবন্দরে অনুমোদন দেওয়া ৮৩ জনবলের সবাই ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছেন।
নতুন জনবলের মধ্যে একজন বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি), একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, চারজন পরিদর্শক, ৪০ জন উপ-পরিদর্শক, ১৫ জন উপ-সহকারী পরিদর্শক, ২০ জন কনস্টেবল এবং দুজন সিভিল স্টাফ রয়েছেন।
এর আগে সিএমপির একজন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে ৬৪ পুলিশ সদস্যের একটি দল দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। যাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে শাহ আমানত বিমানবন্দর দিয়ে মানবপাচারের অভিযোগ ওঠে। গত ১৬ অক্টোবর “শাহ আমানতের ইমিগ্রেশন শাখায় মানবপাচার চক্র!’’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যার তথ্য সূত্র ধরে পুলিশের উচ্চপর্যায়ের একটি টিম ঘটনা তদন্ত করে।
পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি আলমগীর কবিরের নেতৃত্বে অভিযোগের তদন্ত করা হয়। এতে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। কারা লোক যোগাড় করে এবং কোন কোন এয়ারলাইন্স মানবপাচার কাজে জড়িত এবং বিমানবন্দরে কর্মরত পুলিশের ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তা থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত কে কত টাকা ভাগ পেতেন -তাও উঠে আসে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে। যা নির্দ্বিধায় স্বীকার করেন চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার কামরুজ্জামান।
আলমগীর কবির বলেন, গত ১৩ অক্টোবর এই বিমানবন্দর থেকে ভুয়া ভিসায় লিবিয়ায় পাচারকালে ৩৯ জন এবং গত ১০ নভেম্বর ইরাক পাচারকালে ৫ ব্যক্তিকে উদ্ধার করার বিষয়টি তদন্তে উঠে আসে। ইমিগ্রেশন বিভাগে দায়িত্ব পালনকারী কতিপয় পুলিশ সদস্যদের যোগসাজশে এয়ার অ্যারাবিয়া ও ফ্লাই দুবাই নামে দুটি এয়ারলাইন্সযোগে শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে মানবপাচারের ঘটনা ঘটেছে বলেও পুলিশের তদন্তে সত্যতা মিলেছে। ফলে ইমিগ্রেশনে সিএমপির সকল সদস্যকে প্রত্যাহার করে সিটি এসবি ঢাকার আওতায় নিয়ে আসা হয়।
সিএমপির উপ-কমিশনার (সদর) ফারুক আহমেদ জানান, এখন থেকে সিটি এসবির বিশেষ পুলিশ সুপার শাহরিয়ার কবিরের নেতৃত্বে ৮৩ জনের একটি টিম এ বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কাজে নিয়োজিত থাকবেন। এসএসপি শাহরিয়ার কবিরও দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তিনি সিটি এসবি ঢাকা হেড কোয়ার্টারের নির্দেশে পরিচালিত হবেন। এর আগে সিএমপির নির্দেশে শাহ আমানত বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগ পরিচালিত হয়ে আসছিল।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে বিমানবন্দর থেকে সিএমপির সদস্যদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে ইমিগ্রেশন বিভাগ সিএমপি নয়, ঢাকা সিটি এসবির নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

সুত্র/১৪/১৬/D-T.



This post has been seen 317 times.

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১