কেন্দ্রীয় বিএনপিকে খুলনা মহানগর নেতাদের হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত: ৪:৩১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৫, ২০১৬

কেন্দ্রীয় বিএনপিকে খুলনা মহানগর নেতাদের হুঁশিয়ারি

নিউ সিলেট ডেস্ক ::::   আমরা আর কোনোভাবেই নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সঙ্গে রাজনীতি করবো না। আর সে কারণেই রক্তাক্ত খুলনা দেখতে না চাইলে খুলনা মহানগরের সব সম্মেলন স্থগিত করে দিন।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খুলনা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্তজা ও সদ্য অব্যাহতি হাওয়া কোষাধ্যক্ষ এসএম আরিফুর রহমান মিঠু।
খুলনা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্তজা বলেন, ‘মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে টাকা এনে ফান্ড গঠন করে খুলনা বিএনপিকে নষ্ট করেছেন নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। তাকে খুলনায় আর আঙ্গুল উঁচিয়ে কথা বলতে দেয়া হবে না। আমরা রাস্তায় নেমেছি। এবার একটা বোঝাপড়া হবে। হয় সে রাজনীতি করবে না হয় আমরা করবো।
একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা করেছেন, ‘খুলনায় কোনো সম্মেলন হতে দেয়া হবে না। এজন্য রক্ত ঝরাতে প্রস্তুত আছি। যেখানে সম্মেলন হবে সেখানেই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হবে।’
মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আগে ও পরে খালিশপুর বিএনপির দুই শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশ করেন সাহারুজ্জামান ও আরিফুর রহমান মিঠু। মিছিলকারীরা স্লোগান দেন, ‘মঞ্জু ভাইয়ের খামখেয়ালি মানি না মানবো না।’
লিখিত বক্তৃতায় সাহারুজ্জামান আরও বলেন, ‘২০০৯ সালে একটি প্রশ্নবিদ্ধ বিতর্কিত সম্মেলনের মাধ্যমে বর্তমান মহানগর কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটির মেয়াদকাল দুই বছর থাকলেও গত সাত বছর ধরে চলছে।’ তার এই বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, আপনি এই কাগজে যে লিখেছেন, মহানগর কমিটির সহসভাপতি, আপনিও কি সেই বিতর্কিত সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি কি না? জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ আমিও ওই সম্মেলনের সিনিয়র সহসভপতি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর মে মাসে কেন্দ্র থেকে সব নগর ও জেলা কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়। তখন নজরুল ইসলাম মঞ্জু একটি পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা মো. শাহজাহানের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার কোনো জ্ঞান নেই। তার উচিত আমার কাছে এসে সাত দিনের ক্লাস করা।’ তিনি বলেন, ‘১/১১ তে খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার ও দলের দুঃসময়ের পর নজরুল ইসলাম মঞ্জুর ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। তখন তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, আমি পরিবেশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি, প্রতিক্রিয়া পরে জানাবো। ওই সময় (মঞ্জু) তিনি সংস্কারপন্থী মান্নান ভূইয়া ও আশরাফ গংদের হাতকে শক্তিশালী করতে তৎকালীন সভাপতি এম নূর ইসলাম দাদু ভাইকে নিয়ে মান্নান ভূইয়ার বাসায় একাধিক বৈঠক করেন।’
মোর্তজা বলেন, ‘বিএনপির কমিটিতে ত্যাগী নেতারা স্থান পান না। স্থান পান সাবেক হুইপ আশরাফ হোসেনের পিএ সিরাজুল হক নান্নু। এছাড়াও নগর বিএনপি কমিটিতে ভূমিদস্যু, শিশু নির্যাতনকারী, মাদকবিক্রেতা ও চাঁদাবাজরা।’ তিনি বলেন, ‘নজরুল ইসলাম মঞ্জু আজ পতনের শেষ পর্যায়ে। বিভিন্ন সময় সিনিয়র ও যোগ্য নেতাদের অপমান অপদস্থ নাজেহাল করেছেন। খুলনার রাজপথ অলিগলিতে আজ তার কুশপুত্তলিকা দাহ্য চলছে।’
তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপিকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আহুত সব থানা সম্মেলন স্থগিত করে ত্যাগী নেতাদের সমন্বয়ে শক্তিশালী ঐক্যবদ্ধ বিএনপি গঠন করুন। তা না হলে তৃণমূল নেতাকর্মীরা কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে খুলনার পুলিশ কমিশনার ও মঞ্জু গং দায়ী থাকবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দেয়া একটি চিঠিও সাংবাদিকদের দেয়া হয়। চিঠিটি গত ২৯ অক্টোবর সাহারুজ্জামান মোর্তজা ঢাকায় পাঠান। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত ৩১ অক্টোবর ওই চিঠিটি দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহাজাহানকে ব্যবস্থা নিতে বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মহানগর বিএনপির বহিষ্কৃত কোষাধ্যক্ষ এসএম আরিফুর রহমান মিঠু, শামছুর রহমান, মো. হোসেন, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান, এস এম জাকির হোসেন, এইচ এম ডালিম, আবদুল মতিন বাচ্চু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সুত্র-15/11/16-DT



This post has been seen 281 times.

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১