“স্মারক বিনিময়“শিগগির খুলছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার

প্রকাশিত: ৭:৩৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৫, ২০১৬

“স্মারক বিনিময়“শিগগির খুলছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার

নিউ সিলেট ডেস্ক ::::   দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুলে দেয়া হচ্ছে শিগগির। নির্মাণ, প্লান্টেশন ও ম্যানুফেকচার খাতে কর্মী নেবে মালয়েশিয়া। মঙ্গলবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি’র সঙ্গে সফররত মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী রিচার্ড রায়ট আনাক জায়েমের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরণকৃত ৭৪৫টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী পাঠানো নিশ্চিত করার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
২০০৯ সালে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়া বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়া। চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি সরকারি-বেসরকারি যৌথ ব্যবস্থাপনায় (জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে) কর্মী পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সরকার সমঝোতা স্মারকে সই করে। এ খবর বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ফলাও করে ছাপা হয়। ১৫ লাখ কর্মী নিতে সমঝোতা স্মারক সইয়ের একদিন পরই (১৯ ফেব্রুয়ারি) দেশটি ঘোষণা দেয়, বাংলাদেশিসহ কোনো বিদেশি কর্মীই তারা আপাতত নেবে না। তারপর কেটে গেছে ১০ মাস। বর্তমানে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে সীমিত সংখ্যক কর্মী যাচ্ছেন। তবে সমঝোতা স্মারকের আওতায় কোনো কর্মী যাচ্ছেন না। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুললে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশির দেশটিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।
বৈঠকের শুরুতে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী বলেন, শিগগিরই মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে। সরকার নির্ধারিত ব্যয়ে মালয়েশিয়া সরকার ও বাংলাদেশ সরকার কর্মী গমনাগমনের বিষয়ে একমত প্রকাশ করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে নির্মাণ শ্রমিক, প্লান্টেশন ও ম্যানুফেকচার খাতে কর্মী নেবে বলে তিনি জানান।
বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানিতে দালাল চক্র নির্মূল করার ব্যাপারে সরকার বদ্ধপরিকর। মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার। দক্ষ ও আধাদক্ষ কর্মী পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে। ইতোমধ্যে কর্মী প্রেরণের কৌশল নিয়ে উভয় পক্ষ একাধিকবার বৈঠক করেছে।
নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, জনশক্তি রপ্তানিতে গুটিকয়েক রিক্রুটিং এজেন্সিকে সুযোগ না দিয়ে পূর্বে পাঠানো ৭৪৫টি রিক্রুটিং এজেন্সি থেকে অভিজ্ঞ ও স্বনামধন্য রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী পাঠানো নিশ্চিত করা হবে। এতে অভিবাসন ব্যয় হ্রাস পাবে এবং সরকার নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী পাঠানো যাবে। বৈঠক শেষে মালয়েশিয়ার প্রতিনিধিদলের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয় এবং মন্ত্রীদ্বয়ের মধ্যে স্মারক বিনিময় হয়।
মালয়েশিয়ার নয় সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী রিচার্ড রায়ট আনাক জায়েম। প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার নুর আশিকিন বিনতে মোহাম্মদ তায়েব, মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমহাসচিব শাহনিয়ার বিন দারুসমান, ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক হাজি মুস্তাফার বিন হাজি আলী, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জেফরি বিন জোয়াকিম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিদেশি শ্রমিক ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব জামিরি বিন মাত জিন, অভিবাসন দপ্তরের পরিচালক খায়রুল খায়ের বিন ইয়াহিয়া, মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মুখ্য সহকারী সচিব শাহাবুদ্দিন বিন আবু বকর ও মানবসম্পদ মন্ত্রীর বিশেষ কর্মকর্তা রবার্ট আনাক দাপন।

সুত্র-15/11/16-DT



This post has been seen 308 times.

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১