সিলেট ২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৩২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৬, ২০১৬
নিউ সিলেট ডেস্ক:::::: আবার আসলো ভোটের লড়াই। এবার স্থান রাজধানী লাগোয়া জনপদ নারায়ণগঞ্জ। ঘটনাবহুল এই জনপদে ভোটের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই রাজনীতির ময়দানে শুরু হয়ে গেছে নানা কথাবার্তা। বর্তমান মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী গতবার আওয়ামী লীগের সমর্থন না পেয়ে ভোট করেছিলেন স্বতন্ত্র হিসেবে। এবার তিনি কি দলের সমর্থন পাবেন? গতবার শেষ মুর্হর্তে ভোট থেকে সরে যাওয়া বিএনপি এবার কি ভোটের লড়াইয়ে থাকবে? এই প্রশ্নটিই বড় হয়ে উঠেছে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার লড়াইয়ের বাইরে থাকা দলটির নেতা-কর্মীদের কাছে।
নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করে দিয়েছে এরই মধ্যে। দলীয় প্রতীকে প্রথম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আগামী ২২ ডিসেম্বরের ভোটে অংশ নিতে হলে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে ২৪ নভেম্বরের মধ্যে। এরই মধ্যে বিএনপির নারায়ণগঞ্জের একাধিক নেতা ভোটে অংশ নিতে তাদের আগ্রহের কথা গণমাধ্যমকে বলছেন খোলাখুলিই। তবে তাদের এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই। ভোটে অংশ নেয়ার বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় জেলার নেতারা।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলের মধ্যে বরাবরের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে অংশ নেয়ার পক্ষে দুটি মত আছে। একটি হলো, ভোটে যাওয়া, দ্বিতীয়টি ভোট বর্জন করা। এমন নেতাদের মধ্যে বেশিরভাগ ভোটে অংশ নিতে তাদের আগ্রহের কথা বলেছেন। তবে সবাই বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্তভাবে নেবেন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, দুই একদিনের মধ্যে এ ব্যাপারে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও এরপর সবগুলো নির্বাচনেই অংশ নেয়ার কথা জানিয়েছে ভোটে অংশ নেয়ার পক্ষের নেতারা বলছেন, ভোটে জয় আসলো ভালো, আর যদি হেরেও যায় বিএনপি আর সরকারি দল যদি এই ভোটে কারচুপির চেষ্টা করে তাহলেও আখেরে এক ধরনের জয় হয় বিএনপির। কারণ তাতে তাদের নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি আরও জোরাল হয়।
তবে বিরোধী মতের নেতাও আছেন। তারা বলছেন, এই নির্বাচনে অংশ নেয়া না নেয়া সমান কথা। তাদের আশঙ্কা, সরকার বিএনপিকে কোনোভাবেই জিততে দেবে না। তারা বলছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন শুরু থেকেই সুষ্ঠু ভোট করতে ব্যর্থ হয়েছে, এবারও তারা সফল হবে-এমন মনে করার কোনো কারণ নেই।
যদিও সব পক্ষেরই বক্তব্য হলো- দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী মহল এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। খুব শিগগিরই তা জানা যাবে বলেও জানান এসব নেতারা।
তবে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারছেন না এমন অভিযোগ করলেও আওয়ামী লীগের দুই আমলে অনুষ্ঠিত ১১টি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল বিএনপি। এরমধ্যে ছয়টিতেই বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা জিতেছিল।
বিএনপির পক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করলেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জানিয়েছেন, নির্বাচনে কোনো ধরণের অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা বরদাশত করা হবে না। সিইসি কাজী রাকিবউদ্দীন আহমেদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বলেছেন, কেউ বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে চোখ বন্ধ করে অ্যাকশনে যেতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে বিএনপির সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, অতীতে আমরা কোনো স্থানীয় নির্বাচন বর্জন করিনি। সেই হিসেবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ব্যাপারে এমন সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তবে দলীয় ফোরামে আলোচনার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
কবে নাগাদ এমন সিদ্ধান্ত আসতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার বিকালে তিনি বলেন, দুই একদিনের মধ্যে স্থায়ী কমিটির বৈঠক হতে পারে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
তবে গয়েশ্বরের বক্তব্যের উল্টো মত স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর। তিনি বলেন, যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারে না। জনগণ ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে না তাতে অংশ নেয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। আমি মনে করি এমন নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া সমান কথা।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের প্রথম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর আলম খন্দকার। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত নির্বাচনের আগের দিন মধ্যরাতে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করা হয়। বিষয়টি নিয়ে এখনো তৈমুরসহ তার সমর্থকরা ভেতরে ভেতরে ক্ষুব্ধ।
২০১১ সালের ৩০ অক্টোবরের ওই ভোটে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমানকে হারিয়ে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন সেলিনা হায়াৎ আইভি। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হলেও তৃণমূল থেকে কেন্দ্রে পাঠানো তালিকায় তার নাম নেই।
সামনের নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে কথা বলতে মঙ্গলবার বিকালে যোগাযোগ করা হলে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে এই নির্বাচনে অংশ নেয়ার পক্ষে না। কারণ বর্তমান নির্বাচন কমিশন হলো মেরুদণ্ডহীন। তারা সুষ্ঠু নির্বাচন অতীতেও করতে পারেনি ভবিষ্যতেও পারবে না। তারপরও দল শেষ পয়ন্ত নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে আমার তো বিরোধীতার কিছু নেই।
গত নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার অনাগ্রহী হলেও বিএনপির শহর কমিটির নেতা এ টি এম কামাল ভীষণভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী। গণমাধ্যমকে তিনি সে কথা বলেছেন খোলাখুলি। এ টি এম কামাল বলেন, নেতা-কর্মীরা চাইছেন আমি যেন নির্বাচনে অংশ নেই। এখন আমাদের দলের নেত্রী যদি মনে করেন এই ভোটে আমাদের অংশ নেয়া দরকার, তাহলে আমি প্রস্তুত আছি।16/11/16-DT
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
EDITOR & PUBLISHER:
JUMAN AHMED
OFFICE : 4/4 SURMA MARKET
SYLHET
EMAIL:newsylhet2016@gmail.com
WEB:www.sylheterkhobor.com
MOB:01712-298815
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি