দেশ গঠনে সশস্ত্র বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৯:৩১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০১৭

দেশ গঠনে সশস্ত্র বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার : প্রধানমন্ত্রী

নিউ সিলেট ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সুখী ও সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনের যে প্রচেষ্টা বর্তমান সরকার চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীও এর গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার । দেশ গঠনে সশস্ত্র বাহিনীর আরও ভূমিকা প্রত্যাশা এবং জনগণের কল্যাণে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার বিকালে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এদেশ আমাদের, এদেশের যত উন্নতি হবে, মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার ততই উত্তোরণ ঘটবে। বিশ্বমানের শিক্ষা, জ্ঞান, বিজ্ঞান শিক্ষা, খেলাধূলা এবং অন্যান্য ক্ষেত্র গড়ে তুলে বাংলাদেশকে মর্যাদাবান জাতি রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে প্রতিষ্ঠার জন্য বর্তমান সরকার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা তাদের কর্মে পেশাদারিত্বের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব এবং মর্যাদাকে সমুন্নত করবেন এবং জাতীয় উন্নয়নে তাদের ভূমিকা অব্যাহত রাখবেন।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করে বলেন, সশস্ত্র বাহিনীকে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম করে তোলার জন্য আমাদের সরকার কার্যকরী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন স্তরে আন্তর্জাতিক মান অর্জনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে পরিচিত করতে হবে। এই জন্য প্রয়োজন সবার সহযোগিতা ও ঐকান্তিক ইচ্ছা।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত সশস্ত্র বাহিনী আমাদের জাতির অহংকার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি তাদের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করি। আপনারা যেন চেইন অফ কমান্ড মেনে শৃঙ্খলা ও পেশাগত দক্ষতায় সর্বত্র প্রশংসিত হতে পারেন সেটাই আমার কাম্য।
শেখ হাসিনা বলেন, সশস্ত্র বাহিনী আজ তাদের সততা, নিষ্ঠা, কর্মদক্ষতা এবং নানাবিধ জনসেবামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে। তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি যেকোনো দুর্যোগ কবলিত অঞ্চলে আর্তমানবতার সেবা ও জান-মাল রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনী যে আন্তরিকতা ও দায়িত্ববোধ নিয়ে বিপর্যস্ত জনগণের পাশে দাঁড়ায় তা জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ রাখবে। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের সহায়তায় সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকাও দেশে বিদেশে বহুল প্রশংসিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী এবং তিন বাহিনী প্রধানরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব মিয়া, জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা এবং তাদের স্ত্রীগণ, কূটনীতিক এবং পদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা সংবর্ধনায় অংশ নেন।dt/ns/-



This post has been seen 247 times.

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১