সিলেট ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৫৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২, ২০১৭
নিউ সিলেট ডেস্ক : পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা বলেন, ২০ বছরেও পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ফের পার্বত্যাঞ্চল অশান্ত হবে বলে সরকারকে হুঁশিয়ার করেছেন। তিনি বলেন, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন না হলে পাহাড়ে আগুন জ্বলবে। শনিবার (২ ডিসেম্বর) পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির দুই দশক পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর ফার্মগেটে ডেইলি স্টার ভবনে এক আলোচনা সভায় সন্তু লারমা এসব কথা বলেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সন্তু লারমা বলেন, বর্তমান সরকার ১৯৯৭ সালের আজকের দিনে এই চুক্তি করেছিল। কিন্তু এই চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের কোনো আন্তরিকতা নেই। এসব কিছুর পরে মনে হয়, আমরা যেন সেই পাকিস্তানি শাসনমালের মতোই একটি ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থায় আছি। এ উপনিবেশ তো আমরা চাইনি। বিশেষ শাসিত অঞ্চলের কথা বলা হয়েছে, কিন্তু তা করা হয়নি। গোটা চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির সঙ্গে ‘প্রতারণা করা চলেছে’ বলেও অভিযোগ করেন সন্তু লারমা।
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে হতাশা প্রকাশ করে এই পাহাড়ি নেতা বলেন, ১৯৯৭ সালে আজকের প্রধানমন্ত্রীই চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। তিনি সেদিন যেসব কথা বলেছেন, আর আজকে তিনি যা বলছেন, তাতে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। তার কথায় পাহাড়িদের বঞ্চনা, শোষণ ও নিপীড়নের কথাই খুঁজে পাই।
তিনি বলেন, সরকার যদি জুম্ম জাতির অধিকার দমনে অস্ত্রের ভাষা প্রয়োগ করে, তবে আজকের নিরস্ত্র জুম্মরাও হাতে অস্ত্র নিয়ে তাদের উত্তর দেবে। শান্তি চুক্তি অনুসরণে ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি, সেনা শাসন প্রত্যাহার, জুম্মদের শিক্ষা সংস্কৃতি রক্ষায় সরকার কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় পার্বত্যবাসীর জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই বলে দাবি করেন তিনি। সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে’ পার্বত্য অঞ্চলে পাঁচ লক্ষাধিক বহিরাগত ‘অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে পাহাড়িদের জমির উপর কর্তৃত্ব চালাচ্ছে বলে অভিযোগ সন্তু লারমার। চুক্তির আওতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইনের বাস্তবায়ন ও অবকাঠামো নির্মাণ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
সন্তু লারমা বলেন, আমরা আইনের বিভিন্ন ধারা সংশোধন করতে বারবার সরকারকে বলছি, কিন্তু সরকার সায় দিচ্ছে না। বারবার বলছে, জনসংহতি সমিতি সহযোগিতা করলে বাস্তবায়ন সম্ভব সবকিছু। কিন্তু আমরা তো সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত, তারা আমাদের কথা শুনছেন না।
ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাণা দাশ গুপ্ত উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি হয়। এর মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে চলা দুই দশকের সশস্ত্র আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটে।tr24/ns/-
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
EDITOR & PUBLISHER:
JUMAN AHMED
OFFICE : 4/4 SURMA MARKET
SYLHET
EMAIL:newsylhet2016@gmail.com
WEB:www.sylheterkhobor.com
MOB:01712-298815
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি