সিলেট ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৪৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০১৬
নিউ সিলেট ডেস্ক ::::: ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, তাপমাত্রা যাতে দেড় ডিগ্রির বেশি না বাড়ে সে লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সে সঙ্গে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব থেকে নিজেদের রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলমত নির্বিশেষে সবার এগিয়ে আসা উচিত।
জাতীয় সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সোমবার এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি স্পিকার এসব কথা বলেন। সার্ক এনভায়রমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম ‘প্যারিস থেকে মারক্কাশ বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন ‘আমাদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক কনভেনশনের আয়োজন করে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ বাংলাদেশ (এনসিসিবি) ট্রাস্টের কোঅর্ডিনেটর মিজানুর রহমান বিজয়। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিরোধীদলীয় হুইপ মো. ফখরুল ইমাম, সাতক্ষীরা-১ আসনের ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, প্রেস ইনস্টিটিউিটের ডিজি শাহ মোহাম্মদ আলমগীর, আওয়ামী লীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, রাজধানীর হাজারীবাগে গেলে দুর্গন্ধ, বুড়িগঙ্গা নদীতে গেলে দুর্গন্ধ। হাজারীবাগ ও বুড়িগঙ্গার দুরাবস্থার জন্য আমরাই দায়ী। পরিবেশ রক্ষায় আমাদেরকে একযোগে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে স্বপ্ন দেখান না,স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন। বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে পদ্মাসেতু নির্মাণ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সবাইকে মনে রাখতে হবে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এক ট্রাম্প কি পৃথিবী ডিজলভ করে দিতে পারবে? ট্রাম্পকে অবশ্যই প্যারিস চুক্তি বাতিল নয়, বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোর কারণে বাংলাদেশের কত লোক ঘরবাড়ি হারিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে তার সঠিক হিসেব আমাদের কাছে নেই। তারপরও বলবো আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পেরেছি। এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে। একটি কথা না বললেই নয়। আর তা হচ্ছে একটি রাজনৈতিক দল আরেকটি দলের শত্রু হতে পারে না। প্রতিপক্ষ হতে পারে। প্রতিপক্ষ হিসেবে মতপ্রকাশ করতে বাধা নেই। কিন্ত দেশের ক্ষতি করবেন না। জলবায়ু সমস্যা থেকে উত্তরণে আমাদের সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।
বিরোধীদলীয় হুইপ মো. ফখরুল ইমাম বলেন, ট্রাম্পের কথায় কার্বন নির্গমনকারীরা ৫০ ভাগ প্রাণ ফিরে পেয়েছে। ওবামা প্রশাসনের সময় তাদের মাঝে যে উৎকণ্ঠা ছিল তা এখন আর নেই। আর এর ফল আমাদের ভোগ করতে হবে। ক্ষতিপূরণের টাকা সরকারের মাধ্যমে আসতে হবে। বেসরকারিভাবে আসলে কোন লাভ হবে না। তাছাড়া ক্ষতিপূরণ পাবো এমন আশায় বসে থাকলে চলবে না। যে দুর্যোগ অপেক্ষা করছে তা মোকাবিলার জন্য আমাদেরকে কাজ করতে হবে।
মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে উপকূলীয় এলাকার দেড় থেকে দুই কোটি লোক বাস্তুচ্যুত হবে। যারা বাস্তুচ্যুত হবে তাদেরকে আশ্রয় দিতে বাধ্য উন্নত দেশগুলো। তাদের কারণেই বাংলাদেশের লোকজন ঘরবাড়ি হারাবে। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যার ৯০ ভাগের জন্য দায়ী বিশ্বের উন্নত দেশগুলো। তারা তাদের দায়ভার কোনভাবেই এড়াতে পারে না।
এদিকে মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার কার্বন নির্গমন ৫ ভাগ কমিয়ে আনবে। আর সহায়তা পাওয়া গেলে এই হার আরো ১০ শতাংশ যুক্ত হবে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা ২০৫০ সালের দিকে যা হবে তা মোকাবিলা করার ক্ষমতা বাংলাদেশের নেই। সবাইকে মনে রাখতে হবে আমরা এক হয়ে কাজ না করলে ক্ষতিপূরণ আদায়ে বেগ পেতে হবে। আর সেটি হবে দেশের জন্য ক্ষতির কারণ।
কনভেনশন সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন সাংবাদিক রাহুল রাহা। আর জলবায়ু কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির সমন্বয়ক ছিলেন সাংবাদিক নিখিল ভদ্র।21/11/16-pb/ns/-
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
EDITOR & PUBLISHER:
JUMAN AHMED
OFFICE : 4/4 SURMA MARKET
SYLHET
EMAIL:newsylhet2016@gmail.com
WEB:www.sylheterkhobor.com
MOB:01712-298815
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি