সিলেট ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:২৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০১৭
নিউ সিলেট ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি নাকে খত দিয়ে আসবে। এবার তারা আর ভুল করবে না। এবং আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আলোচনার কোনো প্রয়োজন নেই। বৃহস্পতিবার বিকেলে কম্বোডিয়ায় তার সরকারি সফর সম্পর্কে বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবনে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনাও নাকচ করে দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেছেন, এমন কোনো দৈন্যদশা সরকারের হয়নি যে আগাম নির্বাচন দিতে হবে। কম্বোডিয়া সফর সম্পর্কে বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় এক ঘণ্টার সংবাদ সম্মেলনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক একটি দেশে যে দলগুলো গণতন্ত্র চর্চা করে সেই সব দলের নির্বাচনে আসা কর্তব্য। তবে কে নির্বাচনে আসবে আর কে নির্বাচনে আসবে না সে ব্যাপারে সরকারের কিছু করণীয় নেই। বিএনপিকে নির্বাচনে আনা নিয়ে সরকারের করণীয় বিষয়ে বারবার প্রশ্ন না করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনা নিয়ে যদি আপনাদের এতই আগ্রহ থাকে তাহলে তেলের টিন, ঘিয়ের টিন নিয়ে সেখানে যান। আমি ওই পাত্রে ঘি ঢালি না।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বরণ ডালা পাঠাতে হবে? একবার তাঁর (বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া) সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে আমন্ত্রণ জানিয়ে ঝাড়ি খেয়েছি, অপমানিত হয়েছি, আর ঝাড়ি খাওয়ার-অপমানিত হওয়ার ইচ্ছে নেই। যাদের মধ্যে ভদ্রতা জ্ঞান নেই, তাদের সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছে নেই।
প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকের উদ্দেশ করে বলেন, এই ধরনের ছোটলোকি পনা যারা করে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করার কথা বলেন কোন মুখে। আমার ওপর আপনারা এত জুলুম করেন কেন? কোন দল নির্বাচন করবে কোন দল নির্বাচন করবে না তা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। এখানে আমাদের কি করার আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানকে মেজর জেনারেল বানিয়েছেন আমার বাবা। বউ নিয়ে তিনি আসতেন। আমাদের বাসার নিচে মোড়া পেতে বসে থাকত। তাকে আপনারা বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক বলেন। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন, এটাই বহুদলীয় রাজনীতি?
আদালতে খালেদা জিয়ার দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উচিৎ, জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া।
জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দিতে গিয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া বলেন, সরকার জিয়া পরিবারের সঙ্গে বৈরী আচরণ করলেও তিনি শেখ হাসিনাকে ‘ক্ষমা করে দিয়েছেন’, প্রতিহিংসামূলক কিছুই তিনি করবেন না।
বিএনপিনেত্রীর ওই বক্তব্য নিয়ে এক সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শেখ হাসিনা বলেন, উনি কিসের ক্ষমা করলেন সেটা হল প্রশ্ন। ২১ অগাস্ট আমি যে বেঁচে গিয়েছি সেই কথা বলছেন? ক্ষমা করেছেন না চাইছেন, সেটা স্পষ্ট না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি কোনো অপরাধ করেছি নাকি যে আমাকে ক্ষমা করতে হবে? বরং তার উচিৎ দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ফ্রান্স, তুরস্ক, সৌদি আরবসহ অনেক মিত্র দেশের আহ্বান উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতির যে ঘোষণা দিয়েছেন, তা বাংলাদেশের কাছেও গ্রহণযোগ্য নয়।
সংবাদ সম্মেলন মঞ্চে ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এ ছাড়া সেখানে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, সরকারের মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।tr24/ns/-
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
EDITOR & PUBLISHER:
JUMAN AHMED
OFFICE : 4/4 SURMA MARKET
SYLHET
EMAIL:newsylhet2016@gmail.com
WEB:www.sylheterkhobor.com
MOB:01712-298815
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি