প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হক আর নেই, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক

প্রকাশিত: ৭:৩২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৭

প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হক আর নেই, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক

নিউ সিলেট ডেস্ক : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক আর নেই। শনিবার সকাল সাড়ে আটটায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
গত আগস্ট মাস থেকে প্রোস্টেট গ্লান্ডের সংক্রমণে ভুগছিলেন মন্ত্রী ছায়েদুল। ১৩ ডিসেম্বর থেকে তিনি বিএসএমএমইউ হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ-সাপোর্টে ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন এবং গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার ছেলে এ এস এম রায়হানুল হক ঢাকা মেডিকেলে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
মৎস ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হকের প্রথম জানাজা রোববার সকাল সাড়ে নয়টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে।মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শাহ আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রোববার সকাল সাড়ে নয়টায় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা শেষে লাশ হেলিকপ্টারে নির্বাচনী এলাকা নাসিরনগরে নেওয়া হবে। সেখানে বেলা ১১টায় আশতোশ পাইলট হাইস্কুল মাঠে দ্বিতীয় জানাজা হবে।
এরপর গ্রামের বাড়ি পূর্বভাগে বাদ জোহর তৃতীয় ও শেষ জানাজার পর মা-বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
মরহুমের একমাত্র ছেলে ডা. এএসএম রায়হানুল হক জানিয়েছেন, শনিবার বাবার মরদেহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিমঘরে রাখা হবে। রোববার সকাল আটটায় সবার শ্রদ্ধা জানানো ও জানাজার জন্য মরদেহ সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় নিয়ে যাওয়া হবে।
শনিবার সকাল সাড়ে আটটায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন প্রবীণ রাজনীতিক এবং মৎস ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। ছায়েদুল হক ১৯৪২ সালের ৪ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৩, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসন থেকে মোট পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। মৃত্যুর পূর্বপর্যন্ত সে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি খাদ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিও ছিলেন। ছায়েদুল হক ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা আন্দোলনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং ১৯৬৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের নির্বাচিত ভিপি ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধেও সক্রিয় ছিলেন এবং ১৯৭৩ সালে প্রথমবারের মতো নাসিরনগর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর এই খাতের ব্যাপক উন্নয়ন করেন তিনি। তার সময়েই মৎস্য ও ছাগল-উৎপাদনে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে চতুর্থস্থান অর্জন করে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নাসিরনগরের ব্যাপক উন্নয়নে স্মরণীয় অবদান রেখেছেন।
রাষ্ট্রপতির শোক
রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মুহাম্মদ ছায়েদুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন।
আজ এক শোক বার্তায় আব্দুল হামিদ বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক নিবেদিত প্রাণ এবং দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ ছিলেন। রাষ্ট্রপতি তার আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
শনিবার এক শোকবার্তায় দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ছায়েদুল হকের অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ছয় দফার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন এবং মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জনপ্রিয় এই নেতা আওয়ামী লীগের টিকিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে ১৯৭৩ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত পাঁচ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার মৃত্যুতে দেশ একজন নিবেদিত প্রাণ ও সৎ নেতাকে হারালো।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
ছায়েদুল হক আজ সকাল সাড়ে ৮টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসাপাতালে ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি এ বছরের আগস্ট মাস থেকে একই হাসপাতালে লাইফসাপোর্টে ছিলেন।



This post has been seen 311 times.

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১