খালেদা সুষ্ঠু বিচার না পেলে জাতি বিচার করবে, বিচারককে আইজীবী

প্রকাশিত: ২:৩০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৭

খালেদা সুষ্ঠু বিচার না পেলে জাতি বিচার করবে, বিচারককে আইজীবী

নিউ সিলেট ডেস্ক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাজা হলে জাতি এর বিচার করবে বলে বিচারককে সতর্ক করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। এই রায় ইতিহাস হয়ে থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, এই মামলায় বিএনপি প্রধানকে সাজা দেয়া উচিত হবে না। আজ বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে বিচারক আখতারুজ্জামানের আদালতে বিএনপি নেত্রীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন খন্দকার মাহবুব। গত পাঁচ কার্যদিবস ধরে খালেদার আইনজীবীদের এই যুক্তি উপস্থাপন চলছে। আজকেই এই যুক্তি দেয়া শেষ করার নির্দেশ রয়েছে। খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে সকালে আদালতে তার আইনজীবীরা যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন।
গত ১৮ ডিসেম্বর এই মামলায় যুক্তি উপস্থাপন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবীরা। তারা এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি করেন।  এরপর গত ২০ ও ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করার নির্দেশ ছিল। কিন্তু ২১ ডিসেম্বর বিএনপি প্রধানের আইনজীবীদের আবেদনের পর ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর আবার যু্ক্তি উপস্থাপনের সুযোগ দেন বিচারক।
গত দুই দিন বিএনপি নেত্রীর পক্ষে আদালতে কথা বলেন তার আইনজীবী আবদুল রেজাক খান। আজ কথা বলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন।
বিচারককে উদ্দেশ্য করে খন্দকার মাহবুব বলেন, আপনি ন্যায় বিচার করবেন। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিচার করবেন। এটা একটা ইতিহাস হয়ে থাকবে।
মাহবুব বলেন, যে সরকার ক্ষমতায় থাকে সেই আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে ফায়দা নিতে চান। কিন্তু সবক্ষেত্রে সেটা সম্ভব হয় না।এটা সে রকমের একটি মামলা।
বিচারকের উদ্দেশ্য করে বিএনপি আইনজীবী বলেন, আপনার কাছে একটা নিবেদন থাকবে, এই মামলায় যে ছায়া নথি আনা হয়েছে সেটি ঘষামাজা, স্বাক্ষরবিহীন কাগজপত্র। সেটা দিয়ে মামলাটি করা হয়েছে। খালেদা জিয়া তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তার বিরুদ্ধে ঘষামাজা কাগজ দিয়ে করা মামলায় যদি সাজা দেয়া হয় তাহলে সারা জাতি এর বিচার করবে।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটি করে দুদক। এতে ট্রাস্টের নামে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এই মামলায় তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট এই মামলায় অভিযোগপত্র দেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয় খালেদা জিয়ার।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। এ মামলা ছাড়াও একই আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা চলছে। এই ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক।dt/ns/-



This post has been seen 287 times.

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১