সিলেট ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:০৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০১৬
নিউ সিলেট ডেস্ক ::::: সহশ্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে সফল হয়েছে বাংলাদেশ। আটটি লক্ষ্যের ২১টি টার্গেটের মধ্যে ১৩টি নির্ধারিত সময়ের আগেই অর্জন সম্ভব হয়েছে। বনায়ন ছাড়া অবশিষ্ট টার্গেট অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যপক উন্নতি করেছে।
এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সার্কভুক্ত ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভূটান ও আফগানিস্তানকেও ছাড়িয়ে গেছে। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) ‘মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস, অ্যান্ড-পিরিয়ড স্টকটেকিং অ্যান্ড ফাইনাল ইভালুয়েশন রিপোর্ট (২০০০-২০১৫)’ শীর্ষক চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।
বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড.মসিউর রহমান।
প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম। বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা সচিব তারিক-উল-ইসলাম, বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা অফিসের চিফ ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন ও জাতিসংঘের রিপ্রেজেনটেটিভ সুদীপ্ত মুখার্জি প্রমুখ।
এমডিজির জন্য নির্ধারিত হয়েছিল ৮টি লক্ষ্যমাত্রা। এগুলো ছিল- ১. চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূর, ২. সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণ, ৩. নারীর ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গভিত্তিক সমতা অর্জন, ৪. শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, ৫. মাতৃ-স্বাস্থ্যের উন্নতি, ৬. এইডস, ম্যালেরিয়া এবং অন্যান্য ছোঁয়াচে রোগ প্রতিরোধ, ৭. টেকসই পরিবেশ গড়ে তোলা এবং ৮. উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক সহযোগিতা বৃদ্ধি। প্রতিটি লক্ষ্যের অধীনে ছিল একাধিক টার্গেট।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, পৃথিবীর কম দেশই আছে যারা লক্ষ্যমাত্রার আগেই অনেক গোল পূরণ করতে পেরেছে। যার মধ্যে আমরাও আছি। এসডিজিতে চ্যালেঞ্জ থাকলেও আমরা সফল হতে পারবো। জিএসপি সুবিধা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি বেশি হচ্ছে। তৈরি পোষাক খাত থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলার আয় হবে।
মসিউর রহমান বলেন, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বাড়াতে হবে এবং তা বিনিয়োগে আনতে হবে। সেই সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে যেসব বাধা রয়েছে তা দূর করতে হবে।
আহম মুস্তফা কামাল বলেন, এমডিজির বেশিরভাগ সূচকে আমরা ভালো করেছি। কয়েকটিতে এখনো অর্জন না হলেও আমরা সঠিক পথেই আছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের যে রূপকল্প ঠিক করেছেন, তাতে আমাদের পথ হারানোর কোনো আশঙ্কা নাই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক নম্বর লক্ষ্যের অধীন টার্গেটগুলোর মধ্যে দারিদ্রের হার অর্ধেকে নামিয়ে আনা, দারিদ্রের আনুপাতিক হার, কম ওজনের ৫ বছর বয়সী শিশুদের সংখ্যা কমানোর টার্গেট বাংলাদেশ পূরণ করতে পেরেছে।
এমডিজি শেষে জাতীয় দারিদ্রের হার ৫৬ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে ২৯ শতাংশে হ্রাসের টার্গেট ছিল। ২০১৫ সালে জাতীয় দারিদ্রের হার ২৪ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। একইভাবে দারিদ্রের আনুপাতিক হার ১৭ শতাংশ থেকে ২০১৫ সালে ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে। কম ওজনের ৫ বছর বয়সী শিশুদের সংখ্যা ৬৬ শতাংশ থেকে ৩২ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। এমডিজিতে এই টার্গেট ছিল ৩৩ শতাংশ।
দুই নম্বর লক্ষ্যের অধীন টার্গেটের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের শতভাগ ভর্তির টার্গেট পূরণ হয়েছে। ২০১৫ সালের হিসাবে প্রাথমিকে শিশু ভর্তির হার ছিল ৯৮ শতাংশ।
নারীর ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গভিত্তিক সমতা অর্জনের তিন নম্বর লক্ষ্যের ক্ষেত্রেও সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করা গেছে। এমনকি উভয়ক্ষেত্রে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা এখন বেশি। মাধ্যমিক পর্যায়ে লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে। তবে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতার টার্গেট এখনও পূরণ হয়নি।23/11/16-n24/ns/-
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
EDITOR & PUBLISHER:
JUMAN AHMED
OFFICE : 4/4 SURMA MARKET
SYLHET
EMAIL:newsylhet2016@gmail.com
WEB:www.sylheterkhobor.com
MOB:01712-298815
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি