খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্র্বতীকালীন জামিন

প্রকাশিত: ৩:২১ অপরাহ্ণ, মার্চ ১২, ২০১৮

খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্র্বতীকালীন জামিন

নিউ সিলেট ডেস্ক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্র্বতীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন দেন।
আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটনি জেনারেল মাহবুবে আলম, সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
গতকাল রবিবার বার আদেশের জন্য দিন ধার্য থাকলেও নিম্ন আদালত থেকে নথি না আসায় আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ঠিক করেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি শেষ হয়।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি একই বেঞ্চ খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এ ছাড়া এই মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া অর্থদণ্ড স্থগিত করা হয়। পাশাপশি নিম্ন আদালতের নথি ১৫ দিনের মধ্যে পাঠাতে ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারককে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে খালেদার ৮৮০ পৃষ্ঠার জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। বয়স, শারীরিক অবস্থা ও সামাজিক মর্যাদা বিবেচনাসহ ৩২টি যুক্তি দেখানো হয়। গত ২০ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ১ হাজার ২২৩ পৃষ্ঠার আপিল দায়ের করা হয়। আপিল আবেদনে নিম্ন আদালতের পাঁচ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে ৪৪টি যুক্তি দেখানো হয়। পাশাপাশি সম্পূরক হিসেবে জামিন চাওয়া হয়।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদার আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান এ আপিল দায়ের করেন। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রায় প্রদানকারী বিচারক ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামানের স্বাক্ষরের পর ১ হাজার ১৭৮ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন নিম্ন আদালত। এ মামলার অপর আসামি তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ বাকি পাঁচজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা জরিমানাও করা হয়।
‘অন্য মামলায় গ্রেফতার না দেখালে খালেদার মুক্তিতে বাধা নেই’
এদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চারমাসের অন্তর্র্বতীকালিন জামিন দিয়েছেন আদালত। এখন নতুন করে অন্য কোনো মামলায় গ্রেফতার না দেখানে খালেদা জিয়ার কারা মুক্তিতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন খালেদার আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি জয়নুল আবেদীন।
জামিনের রায় পরবর্তী সাংবাদিকদের তিনি জানান, সরকার যদি অন্য কোনো মামলায় তাকে (খালেদা জিয়া) গ্রেফতার না দেখায় তাহলে কারাগার থেকে মুক্তি পেতে আর কোনো বাধা নেই।
এর আগে আজ (সোমবার) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার চার মাসের অন্তর্র্বতী জামিন দেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ড নিয়ে খালেদা জিয়া গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন। ওইদিন (৮ ফেব্রুয়ারি) জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন পুরান ঢাকার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান। একই সঙ্গে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।
রায় ঘোষণার ১১দিন পর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা রায়ের সার্টিফায়েড কপি হাতে পান। পরের দিন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার হাজিরার জন্য আবেদন করা হয়। গতকাল নিম্ন আদালতের রায়ের নথি হাইকোর্টে পৌঁছালে আজ জামিনের বিষয়ে আদেশ দিলেন আদালত।dt/ns/-



This post has been seen 262 times.

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১