অটিজম শিশুদের সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের কাজ : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২:৫৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২, ২০১৮

অটিজম শিশুদের সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের কাজ : প্রধানমন্ত্রী

নিউ সিলেট ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিবন্ধী ও অটিজম শিশুরা সমাজের বোঝা নয়, তাদের সুপ্ত প্রতিভা আছে। তাদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে পারলে তারা আমাদের সম্পদ হবে। তাই তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।তিনি বলেন, সুস্থরা পারে না, কিন্তু প্রতিবন্ধীরা আমাদের অলিম্পিকের স্বর্ণ এনে দেয়। তাই তারা আমাদের সম্পদ। তাদের সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের কাজ। আজ সোমবার সকালে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০১৮ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান এমপি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. মোজাম্মেল হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব জিল্লার রহমান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রতিবন্ধী ও অটিজম শিশুরা পবিত্র কোরআন, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপেটক থেকে পাঠ করেন। প্রতিবন্ধী ও অটিজম শিশুদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ইসাফা হাফিজ সুষমী।
শেখ হাসিনা বলেন, সমাজে সুস্থ্য মেয়ে হলেই অনেক বাবা মা বোঝা মনে করে। আর প্রতিবন্ধী বা অটিজম শিশু হলে তো কোনো কথাই নাই। প্রতিবন্ধী শিশুর জন্ম হলে দোষ দেয়া হয় স্ত্রীকে, যেন সব দোষ তার।
তিনি বলেন, আল্লাহ সবাইকে সমানভাবে তৈরি করেন না। প্রতিবন্ধীদের প্রতি সকলেরই সদয় হতে হবে। তাদের সঙ্গে স্বাভাবিক আচরণ করলে তারাও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবাদান রাখতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধী ও অটিজম শিশুদের বিষয়ে এখন সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। জাতিসংঘও এখন এ বিষয়ে একটি রেজুলেশন গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি এসব শিশুদের জন্য। তারা যেন জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নিরাপদে থাকতে পারে সে ব্যবস্থা আমরা করছি। সরকারের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানসহ সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বিশ্বাস, অটিস্টিক শিশু-কিশোরদের সম্ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করে সঠিক পরিচর্যা, শিক্ষা ও স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে গড়ে তোলা হলে তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বোঝা না হয়ে অপার সম্ভাবনা বয়ে আনতে পারে।
উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এবার ২ এপ্রিল ১১তম ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ পালিত হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘নারী ও বালিকাদের ক্ষমতায়ন, হোক না তারা অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন’। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল অটিস্টিক ব্যক্তি, শিশু-কিশোর, তাদের পরিবার ও পরিচর্যাকারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।n24/ns/-



This post has been seen 238 times.

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১