সিলেট ২৭শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৫৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৪, ২০১৬
নিউ সিলেট ডেস্ক :::::: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের রাডার ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের অনুমতি দিয়ে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এর আগে ২৩ নভেম্বর দুদকের আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার আদেশের জন্য দিন ধার্য্য করা হয়েছিল।
এরশাদ ছাড়া এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিমান বাহিনীর সাবেক সহকারী প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান সুলতান মাহমুদ ও ইউনাইটেড ট্রেডার্সের পরিচালক এ কে এম মুসা। মামলার শুরু থেকে মুসা পলাতক রয়েছেন।
এর আগে চলতি বছর ৭ নভেম্বর এরশাদের বিরুদ্ধে রাডার কেনায় দুর্নীতির মামলাটিতে পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দেন ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লা। নিম্ন আদালতের এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করে দুদক।
দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, ন্যায়বিচারের স্বার্থে বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেওয়া প্রয়োজন বলে গত গত ২১ অক্টোবর নিম্ন আদালতে পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন করেছিল দুদক। সেই আবেদন খারিজ হওয়ায় হাইকোর্টে এই রিভিশন আবেদন করা হয়।
দুই যুগ আগের করা এই মামলাটি বিচারের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানোর পর ২০১৪ সালে ঢাকার তৎকালীন বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবদুর রশীদ শুনানিতে বিব্রত বোধ করেন। এরপর মামলাটি কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে আসে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলাটি এখন যুক্তিতর্কের পর্যায়ে রয়েছে।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলাটি দায়ের করে। ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এই মামলায় ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষী নিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে যুক্তিতর্কের পর্যায়ে রয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, তৎকালীন বিমান বাহিনী প্রধান সদর উদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছে বাহিনীর জন্য যুগোপযোগী রাডার ক্রয়ের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানি নির্মিত অত্যাধুনিক একটি হাই পাওয়ার রাডার ও দু’টি লো লেভেল রাডার ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
তৎকালীন সেনাবাহিনী প্রধান এরশাদসহ অপর আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে থমসন সিএসএফ কোম্পানির রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিং কোম্পানির রাডার কেনে। এতে সরকারের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়।24/11/16-tr24/ns/-
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
EDITOR & PUBLISHER:
JUMAN AHMED
OFFICE : 4/4 SURMA MARKET
SYLHET
EMAIL:newsylhet2016@gmail.com
WEB:www.sylheterkhobor.com
MOB:01712-298815
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি