বিরোধী দলের আসনে বসতে চায় ‘আসল বিএনপি’

প্রকাশিত: ৭:৫১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০১৬

বিরোধী দলের আসনে বসতে চায় ‘আসল বিএনপি’

নিউ সিলেট ডেস্ক :::::  আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আসল বিএনপি’ বিরোধী দলের আসনে বসতে চায়। এ লক্ষে তার দল কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ‘আসল বিএনপি’ নেতা কামরুল হাসান নাসিম। তিনি বলেন, আগামী ২০১৯ সালে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে তার দল ৬০ থেকে ৭০টি আসন নিয়ে বিরোধী আসনে বসতে চায়।
আজ শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ‘আসল বিএনপি’ নেতা কামরুল হাসান লাখ লাখ সমর্থককে নিয়ে বিএনপি পুনর্গঠন আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার অঙ্গীকার করেন।
২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী জনতার নিম্ন আদালত বসিয়েছিলেন। এর এক বছর পূর্তি উপলক্ষে একদিন আগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় কামরুল হাসান বলেন, আমার প্রথম কাজ বিএনপির পুনর্গঠন করা। দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে ২০ দলীয় জোটকে একটি বিশ্বাসযোগ্য জোটে পরিণত করা। জামায়াত এবং জামায়াতের টাকা খায় এমন অনিবন্ধিত দলগুলোকে বাদ দিয়ে ৬-৭টি দলের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী জোট করার ঘোষণা দেন তিনি।
কামরুল হাসান নাসিম বলেন, রামপাল ইস্যুতে আনু মুহাম্মদের মতো সংগঠকদের কাছে ধরণা নিতে হয় খালেদা জিয়াকে। তিনি এখন নাসিরনগরের ঘটনার দিকে মন না দিয়ে স্টার জলসা দেখে সময় কাটান।
নেতৃত্বে আমি আসতে চাইনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার কাজ হচ্ছে বিএনপিকে ঢেলে সাজানো। গত ২০ বছরের কাউন্সিলরদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি এবং এখনো অনেকে পান নাই। সেই কাজ চলছে, চলছে তৃনমূলে দলের নেতাকর্মীদের অভিলাষ, আকাংখা ও স্বপ্ন নিয়ে বিস্তর আলোচনা। সময়মতো নয়া পল্টনের সামনে দলীয় বিপ্লবের কার্যক্রম শুরু হবে। বসে যাবে উচ্চ আদালত। ওই বিপ্লবের আদালত প্রক্রিয়ার সময়ক্ষন হবে ৭ দিন ১৭ ঘন্টার। এরপর দলের ক্রেডিবল পুনর্গঠনে আমার ভুমিকা শেষ হলে আমি আমার নিজস্ব পেশা ও সাংস্কৃতিক ভুবনে মন দিবো বেশি করে। আমার কাজ হলো, বিএনপি-কে সত্যিকারের জাতীয়তাবাদী দল করা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাথে বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইটা আরম্ভ করে দেয়া।
২০১৫ সালের ৯ জানুয়ারি আত্মপ্রকাশ করা কামরুলের এই উদ্যোগ ‘আসল বিএনপি’ নামে গণমাধ্যমে পরিচিতি পায়। এর আগে চারবার আসল বিএনপির মহড়া অনুষ্ঠিত বিএনপি কার্যালয়ের সামনে। প্রতিবারই ছাত্রদল ও যুবদলের হাতে ‘আসল বিএনপি’র কর্মীরা মার খান। তাদের গাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়।
কবে নাগাদ এই উচ্চ আদালত বসবে এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিপ্লব’ দিনক্ষন সময় দিয়ে হয় না। আমি শুধু বলবো, দলীয় বিপ্লবের জন্য উৎসর্গকৃত ৯টি স্বরচিত কবিতা ও আবৃত্তিতে আমি সব কার্যত বলে দিয়েছি। সারাদেশের মানুষ কম বেশী তা শুনেছে, শুনছে। আপনারাও শুনুন।25/11/16-dt/ns/-



This post has been seen 317 times.

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১