বিমান গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ে কর্তৃত্ব হারাচ্ছে

প্রকাশিত: ১:৩১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৭, ২০১৮

বিমান গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ে কর্তৃত্ব হারাচ্ছে

নিউ সিলেট ডেস্ক :  রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমানবন্দরগুলোর গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ে যে একক কর্তৃত্ব ছিল, তা তুলে দেয়া হচ্ছে। যোগ্য যেকোনো প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স নিয়ে এই কাজের সুযোগ পাবে। এমন বিষয় রেখে সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ‘এয়ার নেভিগেশন অর্ডার’ জারি করেছে। পরে বিজ্ঞপ্তি দিলেও গতকাল সোমবার পর্যন্ত কোনো প্রতিষ্ঠান আবেদন জমা দেয়নি।
জানা গেছে, ১৯৭২ সাল থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স দেশের সবক’টি বিমানবন্দরে এককভাবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ করে আসছে। নিজস্ব ফ্লাইটের পাশাপাশি ২৬টি ফ্লাইটের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের সেবা দিচ্ছে তারা। অবশ্য শুরু থেকেই দেশের বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো নিজস্বভাবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং করে আসছে। বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কাজের মধ্যে রয়েছে, বোর্ডিং পাস ইস্যু, ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং, কার্গো লোড-আনলোড, এয়ারক্রাফট সার্ভিস ইত্যাদি।
স্বাধীনতার পর থেকে বিগত চার দশকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং নিয়ে কোনো নীতিমালা হয়নি। ফলে বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনা অভিযোগ হরহামেশাই পাওয়া যায়। গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ে বিমানের সেবার মান নিয়ে স্বয়ং বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী শাহজাহান কামালও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। চলতি বছরের ৮ মে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘বিমান থেকে নামার পর লাগেজ পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু কেন? আমি মন্ত্রী, আমি নিজেই বিমানের (বিমান বাংলাদেশ) সেবায় সন্তুষ্ট না। অন্যদের কথা কি বলব? দীর্ঘদিন পরে হলেও গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের নীতিমালা সেবার ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফেরাবে বলে মনে করছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটি গেল এপ্রিলে এই নীতিমালা করে।
বেবিচকের নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য ‘এ’ ক্যাটাগরির লাইসেন্স নিতে হবে। বাংলাদেশ বিমান যদি গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ অব্যাহত রাখতে চাই, সেক্ষেত্রে তাদের ‘এ’ ক্যাটাগরি লাইসেন্স নিতে হবে। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের জন্য ‘বি’ ক্যাটাগরির লাইসেন্স ও দেশীয় এয়ারলাইন্সের নিজস্ব ফ্লাইটের জন্য ‘সি’ ক্যাটাগরি লাইসেন্স নিতে হবে। এতে আরও বলা হয়েছে, এককভাবে কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স পাবে না। যৌথ বিনিয়োগ হবে, যেখানে দেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার থাকবে ৫১ শতাংশ। এমডি বা সিইও বাংলাদেশি হতে হবে। যেকোনো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুই বছর গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সার্ভিসের অভিজ্ঞতা থাকা প্রতিষ্ঠান ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লাইসেন্স আবেদন করতে পারবে। তবে কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ ব্যবস্থাপনায় থাকলে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ভিন্ন দুটি দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দিনে কমপক্ষে ৩০টি উড়োজাহাজের ন্যূনতম পাঁচ বছরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ‘বি’ ক্যাটাগরির ক্ষেত্রেও তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দিনে কমপক্ষে ২০টি উড়োজাহাজের ন্যূনতম দুই বছরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সার্ভিসের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হবে।
নীতিমালার দায়িত্বে থাকা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ফ্লাইট সেইফটি অ্যান্ড রেগুলেশন বিভাগের পরিচালক উইং কমান্ডার চৌধুরী জিয়াউল কবির বলেন, ‘নীতিমালার ফলে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবার মান বাড়বে। লাইসেন্সসহ পুরো বিষয় একটি নীতিমালার মধ্যে আসায় নজরদারি সহজ হবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। অনেকেই যোগাযোগ করছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিষ্ঠান চূড়ান্তভাবে সাড়া দেয়নি।pb/ns/-



This post has been seen 393 times.

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১