সিলেট ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:১৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০১৮
নিউ সিলেট ডেস্ক : দিনাজপুরের বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির প্রায় দেড় লাখ টক কয়লার হিসাব না মেলার ঘটনাটি চুরি নয় বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছেন কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিব উদ্দিন আহম্মদ। তার দাবি, হিসাব না মেলার ঘটনানি ‘সিস্টেম লস’।
এই কর্মকর্তার ব্যাখ্যা এমন, ১৩ বছর ধরে কয়লা পরিবহন হয়েছে। এ সময় যত কয়লা নষ্ট হয়েছে, সেটি একসঙ্গে বিরাট পরিমাণ মনে হচ্ছে। তবে সামগ্রিক হিসাবে তা দেড় শতাংশেরও কম। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এটা খুবই গ্রহণযোগ্য পরিমান।
বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদেরকে এ কথা বলেন হাবিব। সকাল সাড়ে নয়টা থেকে দুপুর সোয়া তিনটা পর্যন্ত তাকেসহ আট আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলে দুদকে। তাদের সঙ্গে কথা বলেন অনুসন্ধানের তদন্ত কর্মকর্তা দুদক উপ-পরিচালক সামছুল আলম।
গত জুলাই মাসে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর কয়লার হিসাব না মেলার বিষয়টি সামনে আছে।
২০০৫ সাল থেকে এই খনিতে উত্তোলিত এক কোটি ১০ লাখ টন কয়লার মধ্যে ১ লাখ ৪২ হাজার টন কয়লার হদিস মিলছে না। এই কয়লার পরিমাণ ২৩০ কোটি টাকা।
এই খনি থেকে উত্তোলিত কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে যতটা ব্যবহার হতো তার বাইরে উদ্বৃত্ত কয়লা বিক্রি করা হয়ে আসছে ২০০৫ সাল থেকেই।
গত জুলাইয়ে গড়মিল ধরা পড়ার পর গত ২৪ জুলাই খনির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৯ জনকে আসামি করে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা করেন কোম্পানির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন)আনিছুর রহমান।
আর দুর্নীতি দমন কমিশন ১৯ আসামিসহ পেট্রোবাংলার ৩২ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে। এদের মধ্যে ২৩ জনকে এরই মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার ডাকা হয়েছে আরও নয় জনকে।
সাবেক এমডি হাবিব বলেন, ‘আমি শুরু থেকেই বলে এসেছি, কয়লা চুরি বা দুর্নীতি হয়নি।’
তাহলে এই কয়লা কোথায় গেল- এমন প্রশ্নে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘যেটুকু কয়লা গায়েব হয়েছে বলে বলা হচ্ছে, সেটুকু প্রকৃত অর্থে সিস্টেম লস। আমাদের এখানে যেটুকু কয়লা উবে গেছে, তার পরিমাণ ১ দশমিক ৪ শতাংশের বেশি হবে না, অথচ আন্তর্জাতিকভাবে ২ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত সিস্টেম লস গ্রহণযোগ্য।’
বুধবার প্রকৌশলী হাবিবের পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আবুল কাসেম প্রধানিয়া, ব্যবস্থাপক (এক্সপ্লোরেশন) মোশারফ হোসেন সরকার, ব্যবস্থাপক (জেনারেল সার্ভিসেস) মাসুদুর রহমান হাওলাদার, ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) অশোক কুমার হালদার, ব্যবস্থাপক (মেইনটেনেন্স অ্যান্ড অপারেশন) আরিফুর রহমান, ব্যবস্থাপক (ডিজাইন, কন্সট্রাকশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) জাহিদুল ইসলাম এবং উপ-ব্যবস্থাপক (সেফটি ম্যানেজমেন্ট) একরামুল হককেও।
কয়লা ‘গায়েবের’ ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর হাবিব উদ্দিন আহম্মদকে বড়পুকুরিয়া থেকে সরিয়ে পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যানের দপ্তরে আনা হয়। এখন তিনি সেখানেই কাজ করছেন।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
EDITOR & PUBLISHER:
JUMAN AHMED
OFFICE : 4/4 SURMA MARKET
SYLHET
EMAIL:newsylhet2016@gmail.com
WEB:www.sylheterkhobor.com
MOB:01712-298815
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি