আ.লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার নতুন কৌশল ইভিএম : মোশাররফ

প্রকাশিত: ৯:২৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০১৮

আ.লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার নতুন কৌশল ইভিএম : মোশাররফ

নিউ সিলেট ডেস্ক : আগামী জাতীয় নির্বাচনে শতাধিক আসনে ভোট গ্রহণে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহারের যে চিন্তাভাবনা চলছে তাকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকতে নতুন কৌশল বলছেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বিএনপি নেতা বলেন, তারা বুঝতে পেরেছে যে জনগণকে যদি সুযোগ দেয়া হয় তাদের ভোট দিতে তাহলে তাদের ভরাডুবি হবে এটা তাদের গোয়েন্দারা তথ্য দিচ্ছে এজন্য তারা একটার পর একটা কৌশল অবলম্বন করছে টিকে থাকার জন্য। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনায় কথা বলছিলেন বিএনপি নেতা। ‘তড়িঘড়ি করে আরপিও সংশোধনের উদ্যোগ এবং বিতর্কিত ইভিএম পদ্ধতি চাপিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রে নাগরিক শঙ্কা’ শীর্ষক এই মতবিনিময়ের আয়োজন করে ‘স্বাধীনতা ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন।
আগের দিন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ আগামী জাতীয় নির্বাচনে একশ আসনে ইভিএমে ভোট নেয়ার বিষয়ে প্রস্তুতি কথা জানান। এ জন্য দেড় লাখ ইভিএম কিনতে চায় কমিশন।
নির্বাচন কমিশন ইভিএমে ভোটগ্রহণকে ‍সুবিধাজনক মনে করে। এখানে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র মেশিনে পাঞ্চ করেই ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। ফলে একজনের ভোট অন্য জনের দিয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। কেন্দ্র দখলেরও কোনো প্রশ্ন আসে না। ২০১০ সালে চট্টগ্রাম এবং ২০১২ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরীক্ষামূলকভাবে একটি করে কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট নেয়া হয়েছিল। তবে তখন যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয়, সেটিতে ত্রুটি পাওয়ায় তখনকার নির্বাচন কমিশন আর এটি নিয়ে আগায়নি। তবে বর্তমানে যেসব যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলো ত্রুটিমুক্ত বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গত ডিসেম্বরে রংপুর সিটি নির্বাচনে একটি, ১৫ মে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটে দুইটি, ২৬ জুন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটে ছয়টি কেন্দ্রে ব্যবহার করা হয় ইভিএম। এছাড়া ৩০ জুলাই বরিশাল সিটি নির্বাচনে ১১ এবং রাজশাহী ও সিলেটে দুটি করে কেন্দ্রে ব্যবহার করা হয় ইভিএম। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভোটাররা ইভিএম নিয়ে উচ্ছ্বাস জানিয়েছেন। আর এসব কেন্দ্রে ভোট নিয়ে কোনো জটিলতা দেখা দেয়নি, ব্যালটের ভোটে বিভিন্ন কেন্দ্রে গোলযোগ হলেও এসব কেন্দ্রে তা দেখা যায়নি। তবে ইভিএম নিয়ে বিএনপির আপত্তি আছে। তারা মনে করে এই যন্ত্র দিয়ে দূর থেকে ভোট নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং এ কারণে তারা ইভিএমে ভোট নেয়ার বিরোধিতা করে আসছে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, যেসব দেশে নির্বাচনে ইভিএম চালু করা হয়েছিল সেসব দেশে এই পদ্ধতি বাতিল করার প্রক্রিয়া চলছে।
কোন কোন দেশ ইভিএম বাতিলের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে সেটি উল্লেখ না করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশে ইভিএম কোন ক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। ইভিএম আমরা মানি না। আরপিও সংশোধনের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা থেকে বিরত থাকার জন্য বলব। অন্যথায় একদিন জনগণের আদালতে আপনাদের বিচার হবে।
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিএনপির সংলাপের প্রসঙ্গ তুলে ধরে মোশাররফ বলেন, ‘ইসি বলেছিলেন সব দল না চাইলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না। তাহলে এখন কেন এটা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হলো? কোন দল আপনাকে মত দিয়েছে এটা ব্যবহারে?
সিটি নির্বাচন দিয়ে সরকার মানুষের আস্থা হারিয়েছে এমন মন্তব্য করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন,‘নির্বাচনে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে নির্বাচনের সময় সেনা মোতায়েন করতে হবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সংস্কার করতে হবে। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে এগুলো অত্যন্ত জরুরি।
বর্তমান সরকারকে বিএনপি বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে মোশাররফ বলেন, ‘এ দেশের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিশু কিশোরেরা পর্যন্ত এই স্বৈরাচারী সরকারের প্রতি আস্থা স্থাপন করতে পারে না,তাহলে আমরা কীভাবে তাদের বিশ্বাস করতে পারি?



This post has been seen 428 times.

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১