সিলেট ২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:৩৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০১৮
নিউ সিলেট ডেস্ক : সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমের অপরিহার্যতা প্রমাণ হয়েছে বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, উন্নত বিশ্বে এই যন্ত্রেই ভোট হয়। বুধবার বিকালে রাজধানীতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
ইভিএমের বিষয়ে কাদের বলেন, গত সিটি নির্বাচনের কয়েকটা কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করে এর অপরিহার্যতা বোঝানো হয়েছে। নিরপেক্ষ নির্বাচন যদি চাইলে ইভিএম ব্যবহারে আপত্তি কোথায় সেটিও বিএনপির কাছে জানতে চান আওয়ামী লীগ নেতা। আগামী নির্বাচনে একশ আসনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক পরিকল্পনা এবং দেড় লাখ ইভিএম কেনার পরিকল্পনা করেছে। তবে বিএনপি বরাবরই ইভিএম ব্যবহারের বিরোধী। তারা একে ভোটে কারচুপির উপায় হিসেবে বর্ণনা করছে। যদিও কারচুপি কীভাবে সম্ভব সেটা বলছে না। চলতি বছর পাঁচ সিটি নির্বাচনেই ইভিএম ব্যবহার হয়েছে। এর মধ্যে খুলনায় দুই কেন্দ্রের একটিতে বিএনপি অল্প ব্যবধানে জিতলেও আরেকটি বড় ব্যবধানে হেরেছে। নির্বাচনেও হেরেছে তারা বড় ব্যবধানে।
রাজশাহীতে ইভিএমের দুই কেন্দ্রে এবং গাজীপুরে ছয় কেন্দ্রে নৌকার তুলনায় অর্ধেক ভোট পড়েছে ধানের শীষে, সামগ্রিক ফলাফলও ছিল একই রকম।
সিলেটে ইভিএমের দুই কেন্দ্রেই জিতেছে বিএনপি, নির্বাচনেও জয় এসেছে তাদের। পাঁচটি এলাকাতেই ভোটে বিভিন্ন কেন্দ্রে গোলযোগ হয়েছে, তবে ইভিএম ব্যবহার হয়েছে যেসব কেন্দ্রে সেগুলোতে কোনো গোলযোগ হয়নি। বরং স্মার্ট কার্ড ও আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত হয় বলে সেখানে কারচুপির সুযোগও ছিল না। আর ভোটাররা গণমাধ্যমকে এই পদ্ধতিকেই সহজ বলেছেন। ইভিএমের ফলাফলও পাওয়া যায় দ্রুত। কারণ, এখানে আলাদা ব্যালট গণনার দরকার নেই। বোতামে টিপ দিলেই ফলাফল পাওয়া যায়। ইভিএম ২০১০ সালেই ব্যবহারের চেষ্টা করেছিল কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। সে সময় চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে পরীক্ষামূলকভাবে যে ইভিএম ব্যবহার হয়েছিল তাতে ত্রুটি ধরা পড়ার পর আর আগায়নি কমিশন। তবে বর্তমানে যেসব ইভিএম ব্যবহার হচ্ছে, সেগুলোতে কোনো ত্রুটি ধরা পড়েনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এই ইভিএম সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তির লেটেস্ট উদ্ভাবন। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও বেশ কয়েকটি নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে হয়েছে। পৃথিবীর উন্নত দেশে ইভিএম ব্যহৃত হচ্ছে। তবে ইভিএমেই ভোট হতে হবে, এমন অবস্থান নেই আওয়ামী লীগের। দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কাছে আমাদের দাবি থাকবে। নির্বাচন কমিশন যদি মনে থাকে ইভিএম এই মুহূর্তে করার মতো বাস্তবতা নেই বা তারা করতে চান না, বা এবার এই সময়ের মধ্যে ইভিএম মেশিন কেনা বা ব্যবহার যদি যৌক্তিক না হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন তা ঠিক করবে। বিএনপি ভোটে না এসে আন্দোলনের নামে সংহিসতা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দেয়ার কথাও জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। বলেন, আর শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলে তা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা হবে। আগামী নির্বাচন অবাধ, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য হবে বলেও নিশ্চয়তা দেন কাদের।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার নিয়ে বিএনপির সাম্প্রতিক অবস্থান নিয়েও কথা বলেন কাদের। বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মধ্য দিয়ে কত পরিবার নিঃস্ব করে দিয়েছেন বেগম জিয়া ও তারেক রহমান। আর আজ বিএনপির নেতারা গ্রেনেড হামলার বিচার চান। বিচার চাইলে জজ মিয়া নাটক সাজাতেন না।
‘বিচার চাইলে তদন্ত করতেন। বিচার চাইলে হত্যার সব আলামত নষ্ট করে দিতেন না। আমরা কি ভুলে গেছি? রাজনীতিতে এরকম নিষ্ঠুর রসিকতা বিএনপির পক্ষেই সম্ভব। বাংলাদেশে এই দলটি ততদিন ততদিন এই দেশে অশান্তি লেগে থাকবেই। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত কিংবা ড. কামালরা যে ষড়যন্ত্র করছে তা দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলা করতে হবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘কামাল সাহেবরা বলছেন দেশে না কি ক্রান্তিকাল বিরাজ করছে। আমি বলি কিসের ক্রান্তিকাল? ক্রান্তিকাল তাদের যারা এদেশে রাজনীতির নীলনকশা বাস্তবায়ন করতে চায়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, আইন বিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। সভাটি সঞ্চালনা করেন মহানগর দক্ষিণের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আখতার হোসেন।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
EDITOR & PUBLISHER:
JUMAN AHMED
OFFICE : 4/4 SURMA MARKET
SYLHET
EMAIL:newsylhet2016@gmail.com
WEB:www.sylheterkhobor.com
MOB:01712-298815
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি