জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে জড়িত : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত: ১০:৩১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩০, ২০১৮

জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে জড়িত : ওবায়দুল কাদের

নিউ সিলেট রিপোর্ট :: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যাকান্ডের সাথে জিয়াউর রহমান জড়িত। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বুলেটে ঝাঝরা প্রাণহীন বঙ্গবন্ধুর রক্তাক্ত দেহ যখন লুটিয়ে সিড়িতে পড়ে ছিলো ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে তখন জিয়াউর রহমান বলেছিলো, ‘ওয়েলডান মেজর ডালিম’ ওয়েলডান ‘গুড় জব’। এ থেকেই কী প্রমাণিত হয় না বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যাকান্ডের সাথে জিয়াউর রহমান জড়িত।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধুর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সবচেয়ে নির্মম হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন আলোচিত হত্যাকান্ডের কথা উল্লেখ করে বলেন, জুলিয়েট সিজার, এন্থনী, ইন্দিরা গান্ধী, মহাত্মা গান্ধী, রাজীব গান্ধী হত্যাকান্ডে কোনো শিশু কিংবা অন্তস্বত্তা হত্যার শিকার হয়নি। কিন্তু ১৫ আগস্ট শিশু রাসেলসহ অন্তস্বত্তা মহিলাও এই হত্যাকান্ডে রেহাই পায়নি। পৃথিবীর ইতিহাসে এটা জঘন্যতম হত্যাকান্ড। এবং এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের পুরষ্কৃত করেছেন জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের নিরাপদে দেশ থেকে বের হয়ে যাওয়া, তাদের পৃষ্ঠপোষকতা, বিদেশি দূতাবাসে চাকুরী দেওয়াসহ খুনীদের বাঁচাতে ইনডেমনিটি আইন পাশও করা হয়।
বিএনপিতে উদ্দ্যেশ্যে কাদের বলেন, বিএনপি সংলাপ চায়। কার সাথে সংলাপ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কিন্তু বেগম জিয়া নোংরাভাবে কথা বলেন। এর পর বেগম জিয়ার যখন পুত্রশোকে কাতর তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে শান্তনা দিতে গুলশানে তারা বাসায় যান। প্রধানমন্ত্রীকে দেখে গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুত্রশোকে কাতর জননীকে শান্তনা দিতে এমনকি ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি ঐ সময় মওদুদসহ নেতারা ভেতরে ছিলেন। ঐ সময়ই তারা সংলাপের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হাওয়া ভবনের যুবরাজ তারেক রহমানের পরিকল্পনায় হয়েছে বলে তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ আগস্ট সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশ করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। তৎকালীন ক্ষমতাসীনদের মদদে এ হামলা হয়। পরে জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে ঘাতকদের রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় হামলার সব আলামত নষ্ট করে দেওয়া হয়। ঐ সময় কোন বিদেশী সংস্থাকে তদন্ত করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি এফবিআই মামলার তদন্তে এসে ফিরে যায়।
ইভিএম সম্পর্কে তিনি বলেন, ইভিএম দিয়ে বিশ্বের সব জায়গায় নির্বাচন হচ্ছে। এটা সুবিধাজনক প্রক্রিয়া। দ্রুত ভোট গ্রহণ, ভোট গণনাসহ দ্রুত ফলাফল প্রকাশ করা যায়। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন পরীক্ষামূলকভাবে ইভিএমের ব্যবহার করেছে। এবং সদ্য সমাপ্ত সিটি নির্বাচনে সিলেটের দুই কেন্দ্রে ইভিএমে বিএনপির মেয়র প্রার্থী বিজয়ী হয়। তার পরও তাদের ইভিএম নিয়ে আপত্তি। যতো ষড়যন্ত্র হোক না কেনো ২০০১ সালের পুনরাবৃত্তি হবে না।
সিলেট সিটি নির্বাচন সম্পর্কে সিলেটের নেতাদের উদ্যেশে হুসিয়ারি উচ্চারণ করে কাদের বলেন, সিলেটে অনেক হয়েছে। কারা কি করেছেন এবং সিটি নির্বাচনে নৌকাকে টেকানোর জন্য কারা নেতৃত্ব দিয়েছেন এই আত্মবিনাশী প্রতিযোগিতা তারা কিন্তু রেহাই পাবেন না। তারা যত বড় প্রভাবশালী নেতা হউক। তাদের উপযুক্ত শাস্তি পেতে হবে। আমি সিলেটে কেবল ভাষণ দিতে আসি নাই, সিসিক নির্বাচন নিয়ে যেসকল অভিযোগ উঠেছে সেগুলোকে খতিয়ে দেখতে এসেছি।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের সভাপতিত্বে ও জেলা সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি, জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ প্রমুখ।
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ১০ মিনিটের দিকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান ওবায়দুল কাদের।



This post has been seen 367 times.

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১