বাগেরহাটে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’জেএমবি’ সদস্য নিহত

প্রকাশিত: ১২:০৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৭, ২০১৬

বাগেরহাটে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’জেএমবি’ সদস্য নিহত

নিউ সিলেট ডেস্ক :::::   বাগেরহাটে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ‘জেএমবি’ সদস্য নিহত হয়েছে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, হাতবোমা ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।এ ঘটনায় পুলিশের ৩ সদস্য আাহত হয়েছেন।
তবে নিহতের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
শনিবার গভীর রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলা রাখালগাছি ইউনিয়নের রাখালগাছি বাজারের কাছে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যদের বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক(এসআই) গাজী ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে পৃথক তিনটি মামলা করেছেন।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন-সজীব বিশ্বাস, মো. রুবেল ও টিপু সুলতান।
উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দুটি শুট্যারগান, তিনটি হাতবোমা ও পাঁচটি গুলি।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শনিবার রাত দেড়টার দিকে বাগেরহাট সদর উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের রাখালগাছি বাজারের কাছে ১০/১২ জনের জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) একটি দল নাশকতা ঘটাতে অবস্থান করছে-এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও মডেল থানা পুলিশের যৌথদল সেখানে যায়। জেএমবি সদস্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য হাতবোমা নিক্ষেপ ও গুলি চালাতে শুরু করে। এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় আধঘণ্টা বন্দুকযুদ্ধ চলার এক পর্যায়ে তারা পিছু হটলে সেখান থেকে পঁয়তাল্লিশ বছর বয়সী একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তি জেএমবি সদস্য বলে তিনি দাবি করেন। ঘটনাস্থল থেকে দুটি শুট্যারগান, তিনটি হাতবোমা ও পাঁচটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৫ অক্টোবর বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের খলিসাখালি গ্রামের সাফায়েত শেখের বাগানবাড়িতে নাশকতা পরিকল্পনার বৈঠকে অভিযান চালিয়ে চার জেমএমবি সদস্যকে এবং ৩ নভেম্বর ভোর রাতে বাগেরহাট শহরের দড়াটানা ব্রীজের নিচে অভিযান চালিয়ে চারজনকে তাদের গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই সময়ে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি এম মনিরুজ্জামান জেএমবির এই গ্রুপটি বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর ও যশোর জেলার একাংশের আওয়ামী লীগ নেতা ও পুলিশ সদস্যদের টার্গেট করে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল বলে দাবি করেন।27/11/16-tr24/ns/-



This post has been seen 240 times.

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১