শিশু পাচার চক্রের মূল হোতা গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১২:৪১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৭, ২০১৬

শিশু পাচার চক্রের মূল হোতা গ্রেফতার

নিউ সিলেট ডেস্ক :::::  মাংসের দোকানে পাঠানোর আগে মুরগিছানাকে বড় করতে পোলট্রি কারবারীর লাগে অন্তত ৪২ দিন। এ জন্য প্রচুর পরিমাণে খাওয়াতে হয় সেটিকে। আর পাচারের জন্য আনা সদ্যোজাতকে ওষুধ-ইঞ্জেকশন দিয়ে ‘তৈরি’ করতে লাগে ৮ মাস!
এমনই এক শিশু পাচার চক্রের মূল হোতাকে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। শুক্রবার গভীর রাতে দক্ষিণ শহরতলির জোকা এলাকা থেকে বিমল অধিকারী নামে একষট্টি বছরের এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করে সিআইডি। ভারতের ঠাকুরপুকুর এলাকায় ‘পূর্বাশা’ হোম থেকে ১০টি শিশুকে উদ্ধারসহ গ্রেফতার করা হয় বিমলকে।
সিআইডি দাবি করেছে, জেরায় ধৃত জানিয়েছে, এক থেকে দশ মাসের ১০টি শিশুকন্যাকে সে নিজেই ‘পূর্বাশা’য় এনে রেখেছিল। তবে, সঙ্গে সঙ্গে বিক্রির জন্য নয়। কারণ, মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকায় সদ্যোজাত সেভাবে বিক্রি হয় না। সাধারণত মায়ের অপুষ্টিজনিত কারণে গরিব পরিবারের শিশুদের স্বাস্থ্যও ভাল হয় না। তাই সে নানা ওষুধ-ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে শিশুদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটিয়ে ৬-৭ লাখ টাকায় বিক্রি করত। এ জন্য সময় লাগত প্রায় ৮ মাস। আর এই কাজ সে চালিয়ে যাচ্ছে প্রায় ৩০ বছর ধরে।
ধৃত বৃদ্ধকে জেরায় পাওয়া এ তথ্যই অবাক করেছে গোয়েন্দাদের। শুক্রবার ‘পূর্বাশা’ হোমের মালিক রিনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের পরেই বিমলের নাম জানতে পারে সিআইডি। শুরু হয় তল্লাশি।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, বিমল এতদিনে শতাধিক শিশু বিক্রি করেছে। পাচার করেছে বিদেশেও।27/11/16-tr24/ns/-



This post has been seen 347 times.

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১