জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শ্বাশুড়ি নিহত, আহত স্ত্রী শ্যালক ও শ্বশুর

প্রকাশিত: ৮:৩১ অপরাহ্ণ, জুন ৮, ২০১৯

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শ্বাশুড়ি নিহত, আহত স্ত্রী শ্যালক ও শ্বশুর

নিউ সিলেট ডেস্ক : চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় পুলিশের সি আই ডি কনস্টেবল জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শ্বাশুড়ি নিহত হয়েছেন। আহত স্ত্রী শ্যালক ও শ্বশুরকে ছুরিকাহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর জামাই পালাতক।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা শহরের মাদ্রাসা পাড়ার সদানন্দ অধিকারী ও শেফালী অধিকারী দম্পতির মেয়ে ফালগুনীর ৯ বছর আগে বিয়ে দেয়া হয় খুলনা দৌলতপুরে। জামাই অসীম কুমার অধিকারী পুলিশের সি আই ডি কনস্টেবল। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গায় কমর্রত। তাদের ৬ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে অসীম শ্বশুরবাড়ির নিকটবর্তী কলেজপাড়ায় ভাড়াবাড়িতে বসবাস করতেন।
সাম্প্রতিক সময়ে সি আই ডি কনস্টেবল অসীম অধিকারী স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন বলে এলাকাবাসী জানায়। গত শুক্রবার রাতে সন্দেহবশত তিনি স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করলে স্ত্রী পালিয়ে বাবার বাড়ি গিয়ে উঠেন। অসীমের শিশু সন্তান জানায়, রাত দেড়টার সময় অসীম অধিকারী শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর নাম ধরে ডাকাডাকি শুরু করেন। স্ত্রী ঘরের দরজা খুলে দিলে তিনি হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রী ফালগুনী অধিকারীর বুকে ও তলপেটে আঘাত করেন। তার চিৎকারে শ্বাশুড়ি শেফালী অধিকারী ও শ্যালক আনন্দ অধিকারী ছুটে গেলে অসীম তাদেরকেও ছুরিকাঘাত করে। শ্বাশুড়ি ও শ্যালকের বুকের বামপাশে ছুরিকাঘাত করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ঘটে শেফালী অধিকারীর। শ্বশুর সদানন্দ ঘুম থেকে জেগে ছুটে গেলে তাকেও ধরে মাথা গজরের ওয়ালের সাথে ঠুকে আহত করে। ফালগুনী অধিকারী, আনন্দ অধিকারী ও সদানন্দ অধিকারীকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সংবাদ পেয়ে রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কলিম উল্লাহ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। আলমডাঙ্গা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুন্সী আসাদ জানান, পরকিয়ার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে।



This post has been seen 509 times.

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১