জাতীয় স্কুল মিল নীতি ২০১৯’ এর খসড়া মন্ত্রীসভায় অনুমোদন

প্রকাশিত: ৯:৫৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৯, ২০১৯

জাতীয় স্কুল মিল নীতি ২০১৯’ এর খসড়া মন্ত্রীসভায় অনুমোদন

নিউ সিলেট ডেস্ক : দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের দুপুরে খাবার দেওয়া হবে। তবে প্রথমে চর, হাওর ও দুর্গম এলাকার স্কুলগুলোতে এই সুবিধা দেওয়া হবে। আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের এই সুবিধা দেওয়া হবে। খাবার হিসেবে রান্না করা খাবার বা ডিম, কলা ও উন্নতমানের বিস্কুট দেওয়া হবে। এমন বিধান রেখে ‘জাতীয় স্কুল মিল নীতি ২০১৯’ এর চুড়ান্ত খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার (১৯ আগস্ট) তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে বিকেলে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের ১০৪টি উপজেলার ১৫ হাজার ৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল মিল কর্মসূচি চালু আছে। এর মধ্যে ৯৩টি উপজেলায় সরকারি অর্থায়নে এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব স্কুলে শিশুদের উচ্চ পুষ্টিসমৃদ্ধ বিস্কুট দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি দেশের তিনটি উপজেলায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) অধীনে স্কুল মিল কর্মসূচি চালু রয়েছে। দুপুরে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয় বরগুনার বামনা, জামালপুরের ইসলামপুর ও বান্দরবানের লামা উপজেলায়। শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে পাঁচ দিন খিচুড়ি ও একদিন উন্নত পুষ্টিসম্পন্ন বিস্কুট দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি, মানসিক বিকাশ অটুট রাখতে পুষ্টিকর খাদ্য ভূমিকা পালন করে। বিদ্যালয়ের যাওয়ার উপযোগী শিশুদের এই চাহিদা পূরণ ও শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় স্কুল মিল কার্যক্রম বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পর্যায়ক্রমে স্কুল মিল কর্মসূচির আওতায় আনতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, এই কর্মসূচির আওতায় দুর্গম চর, হাওর, উপকূলীয় অঞ্চল, পার্বত্য এলাকা, চা-বাগানসহ সব পিছিয়ে পড়া এলাকাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এবার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই স্কুল ফিডিং চালু করতে চায় সরকার।
তিনি বলেন, এই কর্মসূচির আওতায় তিন থেকে ১২ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের দৈনিক শক্তি চাহিদার ৩০ শতাংশ ক্যালরি পূরণ করবে এমন খাবার দিতে হবে এই মিল থেকে। স্কুল মিল চালুর জন্য ‘জাতীয় স্কুল মিল কর্মসূচি কর্তৃপক্ষ’ চালু হবে। বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্কুল মিল বাস্তবায়নের জন্য পরিচালনা কমিটি থাকবে। শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউএনও এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান যুক্ত থাকবেন। থাকবে উপদেষ্টা কমিটি।
এদিকে সোমবারের বৈঠকে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করতে নীতিমালার খসড়াও মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করতে নীতিমালার খসড়াও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই নীতিমালা অনুযায়ী কমপক্ষে ৭৫ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী হলে প্রতিবন্ধী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করার সুযোগ রয়েছে। এ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতি পাঁচজন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিষ্ঠার জন্য নির্ধারিত কমিটির মাধ্যমে যাচাই শেষে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করা হবে। বর্তমানে এ ধরনের যে প্রতিষ্ঠান আছে সেগুলো যদি এই নীতিমালা অনুযায়ী না হয় তাহলে সেগুলো চলতে পারবে না বলেন তিনি।



This post has been seen 326 times.

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১