গোপালগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ

প্রকাশিত: ৫:৫৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০১৬

গোপালগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ

নিউ সিলেট ডেস্ক ::::  গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাতপাড়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাতে ওই স্কুলছাত্রীকে বসতঘর থেকে হাত ও মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়।
সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। এ দিকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলত শাস্তির দাবিতে স্কুলের সামনে মাননবন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
ওই স্কুল ছাত্রীর মা জানান, বৃহস্পতিবার মেয়ের ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা ছিল। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মেয়ে পড়ছিল, আমি পাশে বসেছিলাম। হঠাৎ সাতপাড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান পিন্টু বিশ্বাসের ছেলে বাপ্পী বিশ্বাস দরজা খুলতে বলে। আমি দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে বাপ্পী বিশ্বাসসহ ২ জন ঘরের মধ্যে ঢুকে আমার হাত ও মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলে। পরে তারা আমার মেয়েরও হাত ও মুখ বেঁধে টেনেহিঁচড়ে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। তারপর আমি আশপাশের বাড়ির মানুষদের বিষয়টি বললে তারা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে। আনুমানিক ২ ঘণ্টা পর ওই মোটরসাইকেলে করে আমার মেয়েকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
তখন এলাকাবাসী ওই মোটরসাইকেলচালক কাজল মিয়াকে আটক করে পুলিশে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে বাপ্পী বিশ্বাস পলাতক রয়েছে। ব্যবসায়িক কারণে আমার স্বামী আমাদের নিয়ে বাজারের পাশে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। বর্তমানে আমার স্বামী নোয়াখালীতে ব্যবসা করেন। কিন্ত ছেলের জেএসসি পরীক্ষা ও মেয়ের এসএসসি পরীক্ষার কারণে এখানে বসবাস করছি। আমাদের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামে।
ওই স্কুলছাত্রী বলেছে, বাপ্পী বিশ্বাস আমাকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি থেকে বেশ কিছু দূরে একটি বাগানে মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ওই মোটরসাইকেলচালকে দিয়ে আমাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আমি বাপ্পী বিশ্বাসসহ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা দুপুরে স্কুলের সামনের রাস্তায় মানববন্ধন করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়। স্কুলের শিক্ষকরা ও মানববন্ধনে অংশ নেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা জানিয়েছেন, মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি, লিখিত অভিযোগ পেলে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার পর বলা যাবে ওই স্কুলছাত্রী ধর্ষিত হয়েছে কি হয়নি।
গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার এসএম এমরান হোসেন জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।1/12/16-tr24/ns/-



This post has been seen 222 times.

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১