সিলেট ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২, ২০১৬
নিউ সিলেট ডেস্ক ::::: নওগাঁর রানীনগর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত মিরাট ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়নটি অত্যন্ত অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত এবং বিল এলাকা নামে পরিচিত। বর্ষাকালে যখন চারিদিক পানি থৈ থৈ করে, এলাকাটিকে দ্বীপের মতো দেখায় তখন চলাচলের একমাত্র উপযোগী বাহন নৌকা।
২০১২-১৩ অর্থবছরে উপজেলার হামিদপুর গ্রামে শ্রীমতখালী খালের ওপর ব্রিজের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ১ বছর আগে ব্রিজটির নির্মাণ কাজের প্রায় শেষ সময়ে মাঝের পিলারটি দেবে যায়। এতে ওই এলাকার প্রায় ১৬ গ্রামের স্কুলের ছাত্র- ছাত্রী এবং হাজার হাজার মানুষকে নদী পারাপারে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, অত্যন্ত অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত এ এলাকাটি যুগ যুগ ধরে এতটুকু উন্নয়ন করা হয়নি। তবে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগা শুরু হয়।
গত কয়েক বছর আগে স্থানীয়রা তাদের যোগাযোগের সুবিধার জন্য স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন। ২০১২-১৩ অর্থবছরে শ্রীমতখালী খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণকাজ শুরু হয়। কিন্ত ব্রিজ নির্মাণের কাজ ব্যাপক অনিয়মের মধ্যে ও নিম্নমানের হওয়ায় কাজের শেষের দিকে এসে ব্রিজের মাঝের পিলারটি দেবে যাওয়ায় ব্রিজের দুই জায়গা ভেঙে যায়। এক বছর পেরিয়ে গেলেও আজও ব্রিজটি পুনর্নির্মাণ করার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এতে ওই ইউনিয়নের বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে মিরাট, হামিদপুর, বৌঠাখালী, রঘুনাথপুর, সিকরিপুর, সেকেরপুকুর, সাতপাড়া, আতাইকুলা, ধনপাড়া, হরিশপুর, বিলবাড়ী, বড়খোলা, ডাঙ্গাপার দরঘাটা, মিঠাপুরসহ ১৬ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র উপায় এখন নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো। বিকল্প কোনো পথ না থাকায় সাঁকো দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে এলাকার মানুষদের।
স্থানীয় রসুল প্রাং, জিয়ারুল ইসলাম, নাছির উদ্দিন ও সাহেব আলী জানান, ব্রিজের কাজে শুরু থেকেই অনিয়ম ছিল। অনিয়ম ও নিম্নমানের কাজ হওয়ায় পিলারটি দেবে যায়। গত ১ বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্ত ব্রিজটি পুনর্নির্মাণ করা হয়নি। একটি ব্রিজের কারণে ওই এলাকার উৎপাদিত ফসল ঠিক সময়ে হাটবাজারে নিতে পারেন না কৃষকেরা। ফলে ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হতে হয়।
উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সাইদুর রহমান মিঞা জানান, আমি কর্মস্থলে যোগদানের আগে ব্রিজটি ভেঙে গেছে। তবে নতুন করে ব্রিজ নির্মাণের প্রক্রিয়া শেষের দিকে। বরাদ্দ পেলেই নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।2/12/16-n24/ns/-
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
EDITOR & PUBLISHER:
JUMAN AHMED
OFFICE : 4/4 SURMA MARKET
SYLHET
EMAIL:newsylhet2016@gmail.com
WEB:www.sylheterkhobor.com
MOB:01712-298815
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি