গণঅভ্যুত্থান ঘটানোর সময় ‘অত্যাসন্ন’: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত: ৯:১৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০২১

গণঅভ্যুত্থান ঘটানোর সময় ‘অত্যাসন্ন’: মির্জা ফখরুল

নিউ সিলেট ডেস্ক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার পতনে ‘নব্বইয়ের মতো আরেকটা গণঅভ্যুত্থান’ ঘটানোর সময় ‘অত্যাসন্ন’। সেদিনকার ছাত্র-জনতা স্বৈরশাসকের তখতে-তাউস উল্টে দিয়েছিল এবং সেদিনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া- সেই সময় এসেছে এখন, আজকে সেই সময় উপস্থিত হয়েছে। আবার সেই ধরনের আরও দৃঢ়তার সঙ্গে আরও একটি গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে হবে।’
আজ রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘শহীদ জেহাদ দিবস’ উপলক্ষে আলোচানা সভায় তিনি এ কথা বলেন । গণঅভ্যুত্থানে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতৃবৃন্দ ও জেহাদ স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। লন্ডন থেকে স্কাইপিতে আলোচনা সভায় যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন ছাত্রদল কর্মী নাজির উদ্দিন জেহাদ। এরপর থেকে এ দিবসটিকে বিএনপি জেহাদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। দিবসটি উপলক্ষে সকালে রাজউক এভিনিউ মোড়ে শহীদ জেহাদ স্মৃতি স্তম্ভে বিএনপি নেতারা পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
মির্জা ফখরুল নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আর সময়ক্ষেপণ নয়, আর কালবিলম্ব নয়। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। আজকে সময় এসেছে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলি, ছাত্রদের ঐক্য গড়ে তুলি, বহুদলীয় ঐক্য গড়ে তুলি।’
অতীতের বিভিন্ন আন্দোলনে ছাত্র সমাজের ভূমিকার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘প্রতিবার যুগে যুগে পরিবর্তন নিয়ে এসেছে এই তরুণেরা, এই যুবকেরা, এই ছাত্ররা। আজকে রুখে দাঁড়াতে হবে, ঘুরে দাঁড়াতে হবে তোমাদেরই। আজকে তোমাদের দিকে ভবিষ্যত তাকিয়ে আছে। যেমন গোটা জাতি আজকে তাকিয়ে আছে আমাদের নেতা তারেক রহমানের দিকে। ঠিক তেমনিভাবে আমরা সবাই তাকিয়ে আছি তোমাদের দিকে। তোমাদের জেগে উঠতে হবে, এই সরকারকে বিদায় করতে হবে।’
মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকারকে সরিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে অবশ্যই এই দেশকে আমরা মুক্ত করব, দেশমাতা গণতন্ত্রের অবিসংবাদিত নেতা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশকে ফিরিয়ে আনবো-এই হোক আজকে জেহাদ দিবসে আমাদের শপথ।’
তিনি বলেন, ‘আজকে মানুষজন কথা বলতে পারে না, লিখতে পারে না। সাংবাদিক ভাইয়েরা লিখতে পারেন না। বাইরে গিয়ে কেউ কথা বলতে সাহস পান না। যারা কথা বলতেন টেলিভিশনে তারাও কথা বলতে সাহস পান না।’ এসময় তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আপনাকে যদি বাঁচতে হয়, আমাকে যদি বাঁচতে হয়, আমার দেশকে যদি বাঁচিয়ে রাখতে হয়, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের অর্জন, নব্বইয়ের অর্জনকে যদি ফিরিয়ে আনতে হয় তাহলে অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে চলে যেতে হবে। পরিষ্কার করে বলতে হবে- সরে দাঁড়াও, ঘুরে যাও।’
নব্বইয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক মিলনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় নব্বইয়ের সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতা শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন, হাবিবুর রহমান হাবিব, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, জহির উদ্দিন স্বপন, নাজিম উদ্দিন আলম, সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, খন্দকার লুতফুর রহমান, সাইফুল আলম নিরব, আসাদুর রহমান খান, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কামরুজ্জামান রতন, এবিএম মোশাররফ হোসেন, নাজির উদ্দিন জেহাদের বড় ভাই কে এম বশিরসহ সাবেক ছাত্র নেতারা বক্তব্য রাখেন।



This post has been seen 245 times.

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১