সিলেট ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:১৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০২২
নিউ সিলেট ডেস্ক : সরকারি কর্মচারীরা ফৌজদারি অপরাধ করলে তাদের গ্রেফতার করতে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার বিধান বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এই আবেদনের ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৩ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন এড. মনজিল মোরসেদ।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, হাইকোর্টের রায় ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। এ সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলা হয়েছে।
আবেদনে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন উল্লেখ করেন, অনেক সময় দেখা যায় সরকারি কর্মচারীদের মিথ্যা মামলা করে অযথা হয়রানি করা হয়। এছাড়া মামলাম হলে তাকে গ্রেফতার করা হলে পরে তিনি যদি মামলায় খালাস পান, তাহলে তার মধ্যে এক ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হয়। এই ভোগান্তি নিরসন ও সরকারি কাজের সুবিধার জন্য আইনটি করা হয়। এসব দিক বিবেচনা করে আইনটি স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়।
সরকারি কর্মচারীরা ফৌজদারি অপরাধ করলে তাদের গ্রেফতার করতে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার বিধান বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে বুধবার আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। আবেদন শুনানির জন্য আজকের দিন ঠিক করেছিলেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীমের চেম্বার আদালত। তাই আজ আপিল বিভাগে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২৫ আগস্ট সরকারি কর্মচারীরা ফৌজদারি অপরাধ করলেও তাদের গ্রেফতার করতে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার বিধান বাতিল করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। ওই রায়ে সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধাসংক্রান্ত আইনের ৪১ (১) ধারাটি সংবিধান পরিপন্থি বলে তা বাতিল করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ বিধান সংবিধানের মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেও উল্লেখ করেন আদালত।
গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে সরকারের পূর্বানুমতি নেওয়ার বিধান কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে এ রায় দেন আদালত।
২০১৮ সালের নভেম্বরে সরকারি চাকরি আইন প্রণয়ন করা হয়। ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে একই বছরের ১ অক্টোবর থেকে আইনটি কার্যকর হয়।
আইনটির ৪১ (১) ধারার ভাষ্য, কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পর্কিত অভিযোগে করা ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ার আগে তাকে গ্রেফতার করতে হলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে।
এ অবস্থায় সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা সংক্রান্ত আইনের ৪১(১) ধারাটি সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের পরিপন্থি উল্লেখ করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর হাইকোর্টে আইনজীবী সরোয়ার আহাদ চৌধুরী, একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া ও মাহবুবুল ইসলাম রিটটি করেন।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে সরকারি চাকরি আইনের ৪১(১) ধারাটি কেন সংবিধানের কয়েকটি (২৬, ২৭ ও ৩১) অনুচ্ছেদের সঙ্গে পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ২৫ আগস্ট হাইকোর্ট রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে রায় দেন। ফলে ফৌজদারি অভিযোগে মামলা হলে সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারের আগে কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে না বলে ওইদিন জানিয়েছিলেন রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
EDITOR & PUBLISHER:
JUMAN AHMED
OFFICE : 4/4 SURMA MARKET
SYLHET
EMAIL:newsylhet2016@gmail.com
WEB:www.sylheterkhobor.com
MOB:01712-298815
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি