লাগাতার কর্মবিরতিতে টেলিটক কর্মচারীরা বেতনভাতা বৃদ্ধির দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন

প্রকাশিত: ৬:৩৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০১৬

লাগাতার কর্মবিরতিতে টেলিটক কর্মচারীরা বেতনভাতা বৃদ্ধির দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন

নিউ সিলেট ডেস্ক:::  রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর কোম্পানি টেলিটকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সোমবার সকাল থেকে গুলশানে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে এ কর্মসূচি পালন করছেন।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছেন টেলিটক এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের (টেওয়া) সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান।
তিনি জানান, টেলিটকের এমপ্লয়িরা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বেতন-ভাতা অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের ন্যায় শতভাগ বৃদ্ধির জন্য দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু ম্যানেজমেন্ট শুরু থেকেই এ বিষয়ে টালবাহানা করতে থাকায় এর আগেও ২১ আগস্ট লাগাতার কর্মবিরতি পালন করে তারা। বিষয়টি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ২৩ আগস্ট কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রতিমন্ত্রী বেতনভাতা শতভাগ বাড়ানো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানের আশ্বাস দেন।
কামরুজ্জামান বলেন, ‘গত ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ তারিখে অনুষ্ঠিত টেলিটকের পরিচালনা পর্ষদের ১৫৫ তম সভায় ৫০% বেতন বৃদ্ধির নামে (বাস্তবে গড়ে ২৫% মাত্র) অগ্রহণযোগ্য বেতন কাঠামো অনুমোদন করা হয়েছে। মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হওয়ায় টেলিটকের এমপ্লয়িরা অত্যন্ত ক্ষুদ্ধ ও হতাশ হয়েছে এবং সেই সাথে অনুমোদিত বেতন কাঠামো প্রত্যাখ্যান করে ১৫ অক্টোবর এর মধ্যে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বেতন-ভাতা জুলাই, ২০১৫ খ্রিঃ হতে শতভাগ বৃদ্ধির দাবি জানায়। কিন্তু টেলিটক ম্যানেজমেন্ট এমপ্লয়ীদের দাবি বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় এমপ্লয়িরা বাধ্য হয়ে কর্মবিরতি পালন করছে।
কর্মসূচির সঙ্গে তারা চাকরি বিধিমালা প্রণয়ন, পদোন্নতি বিধিমালা প্রণয়ন, গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স প্রণয়ন, ডেপুটেশনের লোক নিয়োগের সংখ্যা নির্ধারণসহ বিভিন্ন দাবি তুলেছে।
টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড যার ব্র্যান্ড নাম টেলিটক বাংলাদেশের রাষ্ট্রয়াত্ত একটি মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশের একটি জিএসএম ও থ্রিজি ভিত্তিক রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল ফোন কোম্পানি। টেলিটক ২৯ ডিসেম্বর ২০০৪ সালে যাত্রা শুরু করে। এটা বাংলাদেশ সরকারের একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি।
ফেব্রুয়ারি ২০১৬ অনুযায়ী, টেলিটক বাংলাদেশের পঞ্চম বৃহৎ মোবাইল ফোন অপারেটর যার গ্রাহক সংখ্যা ৪২ লাখ ৫৭ হাজার।



This post has been seen 424 times.

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১