তাভেল্লা হত্যার বিচার শুরু

প্রকাশিত: ১:০১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০১৬

তাভেল্লা হত্যার বিচার শুরু

নিউ সিলেট ডেস্ক:::  রাজধানীর গুলশানে দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত ইতালির নাগরিক তাভেল্লা সিজার হত্যা মামলায় বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হলো।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা এই অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
১৮ অক্টোবর এই মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামিপক্ষ সময়ের আবেদন করায় শুনানি পিছিয়ে আজ মঙ্গলবার দিন ঠিক করা হয়। এদিন বিচারক অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আসামিদের বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তাভেল্লাকে হত্যা করা হয় রাজধানীর গুলশান এলাকায়। বিদেশিদেরকে টার্গেট করে হত্যার প্রথম শিকার ছিলেন তিনি। এই ঘটনাটি দেশের পাশাপাশি বিদেশেও আলোড়ন তুলে। এরপর বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানায় পশ্চিমা বেশ কয়েকটি দেশ।
প্রায় ১০ মাস তদন্ত শেষে গত ২৮ জুন এই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী। এতে বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুমসহ সাত জনকে আসামি করা হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাইয়ুম বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন। পুলিশ বলছে, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা হিসেবে এই হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়। আর কাইয়ুমের নির্দেশেই এই খুন করা হয়।
অভিযোগপত্রে অপর ছয় আসামি হলেন, এম এ কাইয়ুমের ভাই আবদুল মতিন, তামজিদ আহমেদ ওরফে রুবেল ওরফে শুটার রুবেল, রাসেল চৌধুরী ওরফে চাক্কি রাসেল, মিনহাজুল আরেফিন রাসেল ওরফে ভাগনে রাসেল ও শাখাওয়াত হোসেন ওরফে শরিফ ও মো. সোহেল ওরফে ভাঙ্গারি সোহেল।
আসামিদের মধ্যে তামজিদ, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল ও শাখাওয়াত আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। কারাগারে বন্দি আছেন কাইয়ুমের ভাই এম এ মতিনও।
তবে কাইয়ুম ও ভাঙ্গারি সোহেল পলাতক আছেন। গত ২৪ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অভিযোগপত্রে আসামি রাসেল চৌধুরী ও মিনহাজুলের হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা হিসেবে এমএ মতিনের নাম বলেছেন। তবে মতিন রিমান্ডে ডিবির কাছে তাবেলা হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেও আদালতে স্বীকারোক্তি দেননি।
যে কারণে খুন

অভিযোগপত্রে বলা হয়, হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিল একজন শ্বেতাঙ্গকে হত্যা করে দেশে-বিদেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এই পরিকল্পনা করা হয়।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, ভাঙারি সোহেলের কাছ থেকে পিস্তল ভাড়া নিয়ে খুনিরা তাভেল্লাকে হত্যা করেন। মতিনের নির্দেশে ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর শাখাওয়াতের মোটরসাইকেল নিয়ে মিনহাজুল, তামজিদ, রাসেল চৌধুরী গুলশান ২-এর ৯০ নম্বর সড়কে যান। ওই সড়কের গভর্নর হাউসের সীমানা প্রাচীরের বাইরে ফুটপাতে নিরিবিলি ও অন্ধকার স্থানে তামজিদ গুলি করে তাভেল্লাকে হত্যা করেন। তাকে সহায়তা করেন রাসেল চৌধুরী ও মিনহাজুল। মোটরসাইকেলটি চালিয়েছিলেন মিনহাজুল। মামলায় ওই মোটরসাইকেল আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুমের পরিকল্পনা ও অর্থায়নে তাভেল্লালাকে হত্যা করা হয়। কাইয়ুম পরিকল্পনা করলেও তা বান্তবায়ন করেন তার ছোট ভাই আবদুল মতিন। পিস্তল সরবরাহকারী সোহেল গ্রেপ্তার না হওয়ায় পিস্তলটি উদ্ধার সম্ভব হয়নি। তবে পিস্তলটি না পেলেও ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে।
নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক আইসিসিও কো-অপারেশন নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রুফ (প্রফিটেবল অপরচুনিটিজ ফর ফুড সিকিউরিটি) কর্মসূচির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ছিলেন তাভেল্লা।



This post has been seen 435 times.

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১