সিলেট ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:৩১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০১৬
নিউ সিলেট ডেস্ক::: মিয়ানমারে সীমান্তরক্ষীদের উপর সাম্প্রতিক হামলার জেরে রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি আবারো উত্তপ্ত হয়ে হয়ে উঠেছে। রোববার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির বেশ কিছু মানুষ সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, সেনাবাহিনী তাদের গ্রাম থেকে বের করে দিয়েছে।
অভিযোগকারীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ওই দিন ‘কেই কান পাইন’ নামক গ্রামে আচমকা প্রবেশ করে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এ সময় তারা গ্রামবাসীদের অবিলম্বে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয়। সীমান্তরক্ষীরা এ সময় গ্রামবাসীদের খুবই অল্প সময়ের মধ্যে এলাকা ত্যাগ করতে বলে। হাতে বহনযোগ্য গৃহস্থালী সামগ্রী বহনের জন্য যেটুকু সময় প্রয়োজন শুধুমাত্র সেটুকুই তাদের দেয়া হয়।
ফলে প্রাণের ভয়ে আশ্রয় ছেড়ে প্রায় ২ হাজার গ্রামবাসী এরপর থেকে বিভিন্ন এলাকায় লুকিয়ে রয়েছেন। অনেকেই রাত ফসলের ক্ষেতে লুকিয়ে কাটিয়েছেন
তবে রোববারের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেনি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। এই প্রসঙ্গে তারা জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তাদের কারো সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। সরকারের মুখপাত্র মিন্ট কেয়াও জানিয়েছেন, ওই এলাকাটি সেনাবাহিনী পরিচালিত বিপজ্জনক অঞ্চল।
তার মতে, গেলো অক্টোবরে সীমান্ত পুলিশের উপর হামলার তদন্তে কাজ চলছে। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে সতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তিনি জানান, রোববারের ঘটনা তারই ধারাবাহিকতার অংশ হতে পারে। ঘটনার পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও কোনো মন্তব্য আসেনি।
এদিকে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্বিচারে গ্রেফতার এবং বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তদন্তে সে দেশের সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার বিশেষজ্ঞরা।
গত দু’সপ্তাহের বেশি সময় চলমান সংঘাত নিয়ে তদন্তের জন্য এই প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জোর আহবান জানানো হল।
কয়েক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারে সেদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা ঘটনা ঘটে। এতে সীমান্ত পুলিশের ৯ সদস্য নিহত হয়। সেই হামলার জন্য রোহিঙ্গা মুসলমানদের দায়ী করে আসছে বার্মার নিরাপত্তা বাহিনী। এরপর থেকে ওই অঞ্চলে ত্রাণকর্মী এবং সাংবাদিকের প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যাগুরু বৌদ্ধ এবং সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের মধ্যে অস্থিরতা চলছে। রোহিঙ্গা মুসলমানদের সে দেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চায় না মিয়ানমার সরকার। আর আগে ২০১২ সালে রাখাইনের সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ জনগোষ্ঠির হামলার শিকার হয় সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গারা। সেসময় কয়েকশ’ মানুষ প্রাণ হারায়।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
EDITOR & PUBLISHER:
JUMAN AHMED
OFFICE : 4/4 SURMA MARKET
SYLHET
EMAIL:newsylhet2016@gmail.com
WEB:www.sylheterkhobor.com
MOB:01712-298815
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি