প্রতারনামূলক নির্বাচন কমিশন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে নাঃ গয়েশ্বর

প্রকাশিত: ৫:৩৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৬, ২০১৬

প্রতারনামূলক নির্বাচন কমিশন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে নাঃ গয়েশ্বর

নিউ সিলেট ডেস্ক::: প্রতারণামূলক নির্বাচন কমিশন দিয়ে দেশ এবং দেশের মানুষের মঙ্গল হতে পারে না-উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, রকিব উদ্দিন মার্কা কমিশন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
বিএনপি শেষ হয়ে যায় নাই উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, কাল নির্বাচন দিলে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার ক্ষমতা রাখে বিএনপি। এমন কোন আসন নাই যেখানে ৩/৪ জন প্রার্থী নাই। বরং আওয়ামী লীগেরই সমস্যা আছে তাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি যদি শেষ হয়ে যেত তবে শেখ হাসিনা এতো কারিশমা করতেন না। বিএনপি যে কোন মুহূর্তে নির্বাচন করতে পারে। আমাদের সক্ষমতা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীও অবহিত।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘খ্যাতিমান সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষ্যে’ স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। স্মরণ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ডেমোক্র্যাটিক কাউন্সিল।
গয়েশ্বর প্রশ্ন রেখে বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার কি নির্বাচনে বিশ্বাস করে? আসলে জনগনের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। প্রতারনামূলক নির্বাচন কমিশন দিয়ে দেশ এবং দেশের মানুষের মঙ্গল হতে পারে না। ‘আমার ভোট আমি দিব যাকে খুশি তাকে দেব এবং নিরাপদে দিব’-এটা নিশ্চিত করতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অন্যের সমালোচনায় সহনশীলতা থাকতে হবে উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করতে হবে, তবেই গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতেই এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবেও তিনি মন্তব্য করেন।
সংবাদ কর্মীদের স্বাধীনতা নেই এবং এরা গণমাধ্যমের মালিকদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছেন। আর মালিকরা হচ্ছেন ব্যবসায়ী এবং ফলে মিডিয়া সাধারণ জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে পারছে না এবং এরা তাদের মিডিয়াকে তাদের ব্যবসার ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নাই, নাগরিকদের স্বাধীনতা নাই, অথচ আমরা বলছি দেশ স্বাধীন। প্রকৃত অর্থে আজ দেশে ভোগবাদী শাসনতন্ত্র চলছে।
আওয়ামী লীগের কাউন্সিল নিয়ে মাতামাতি হয়েছে-উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, মানুষের ঘরে বিদ্যুত নাই, অথচ কোটি টাকা খরচ করে আওয়ামী লীগ বিদ্যুৎ বাতি জ্বালিয়ে কাউন্সিল করলো। অন্যদিকে আমাদেরকে কাউন্সিল করতে মাত্র ৪৮ ঘন্টা সময় দেয়া হয়েছিল। ক্ষমতাসীন দলই এই বৈষম্য করলো। এর পরও মানুষ স্বতঃস্ফুর্তভাবে বিএনপির কাউন্সিলে যোগ দিয়েছে।
বাংলাদেশ ডেমেক্র্যাটিক কাউন্সিলের সভাপতি এম এ হালিমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ, জাতীয়তাবাদী বন্ধু দলের সভাপতি শরীফ মোস্তফা জামান লিটু, কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।



This post has been seen 364 times.

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১