সিলেট ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৫৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৮, ২০১৬
নিউ সিলেট ডেস্ক::: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বিশ্বব্যাংক থেকে ২০০ কোটি ডলার ঋণ না নিতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংগঠন টিআইবিসহ তিনটি বেসরকারি সংস্থা।
তাদের ভাষ্য, বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণের টাকা নেয়া যাবে না। যদি তারা অনুদান হিসেবে দেয়, তাহলে নেয়া যাবে।
সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠন তিনটির নেতারা এ আহ্বান জানান। টিআইবি ছাড়াও উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট-ক্লিন, সচেতন নাগরিক কমিটি-সনাক এই তিনটি সংগঠন যৌথভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট-ক্লিনের প্রধান নির্বাহী হাসান মেহেদী।
এক প্রশ্নের জবাবে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের টাকা ঋণ হিসেবে নেয়া বাংলাদেশের ঠিক হবে না। কারণ বাংলাদেশ জলবায়ূ পরিবর্তনের ঝুঁকিতে। উন্নত বিশ্বের দ্বারা বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত। সুতরাং বাংলাদেশ ঋণ হিসেবে কেন বিশ্বব্যাংকের কাছে থেকে অর্থ নেবে। ওই সব অর্থ অনুদান হিসেবে দিলে সেটি বাংলাদেশ নিতে পারে।’
সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসে জলবায়ু খাতে ২০০ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার আশ্বাস দেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের এমন আশ্বাসের কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে মনে করেন ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু খাতে বাংলাদেশ স্বাভাবিক কারণেই অনুদান পাওয়ার দাবি রাখে, ঋণ কেন?’।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘গত বছর প্যারিসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে উন্নত বিশ্ব বেশ কিছু বিষয়ে অঙ্গীকার করেছিল। কিন্ত সেগুলোর বাস্তবায়ন নেই। এজন্য এবার উন্নয়নশীল দেশগুলোকে দাবি তুলতে হবে-উন্নত বিশ্বের ওইসব অঙ্গীকার বাস্তবায়নে যেন আইনি বাধ্যবাধকতা তৈরি করা হয়।’
লিখিত বক্তব্যে হাসান মেহেদী বলেন, শিল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর বিদ্যমান প্রতিশ্রুতির তুলনায় গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন ব্যাপকহারে কমিয়ে নতুন বাধ্যতামূলক প্রতিশ্রুতি দিতে হবে, যাতে ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ গড়ে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে।
হাসান মেহেদী বলেন, ‘প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গ্রীনহাউজ গ্যাস নির্গমনের হার কমানো হচ্ছে কিনা সেটি যাচাই, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন করার জন্য শক্তিশালী আইনি ব্যবস্থা ও পরিবীক্ষণ সংস্থা গড়ে তুলতে হবে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সক্ষমতাও বাড়াতে হবে, যাতে কার্বন নির্গমন কমানোর বিপরীতে যথাযথ ক্ষতিপূরণ আদায় করা যায়।’
মেহেদী হাসান বলেন, দূষণকারীর ক্ষতিপূরণ নীতির আওতায় জলবায়ু পরিবর্তন খাতে কোনো অবস্থাতেই ঋণ বা অনুদান নয়, উন্নয়ন সহায়তার অতিরিক্ত ও নতুন ক্ষতিপূরণ বাবদ অনুদানকে স্বীকৃতি দিয়ে জলবায়ু অর্থায়নের সর্বসম্মত সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে হবে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন জনগণের অংশগ্রহণমূলক ‘জাতীয় জলবায়ু কর্তৃপক্ষ’ গঠন করতে হবে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
EDITOR & PUBLISHER:
JUMAN AHMED
OFFICE : 4/4 SURMA MARKET
SYLHET
EMAIL:newsylhet2016@gmail.com
WEB:www.sylheterkhobor.com
MOB:01712-298815
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি