৪০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন”ভূতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে কুর্মিটোলা হাসপাতাল!

প্রকাশিত: ৫:২২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০১৬

৪০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন”ভূতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে কুর্মিটোলা হাসপাতাল!

নিউ সিলেট ডেস্ক::::    রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের আশপাশে আলো ঝলমল করলেও ভেতরে ভূতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে। জানা গেছে, শুক্রবার রাত থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৪০ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ নেই এই হাসপাতালটিতে। নেই জেনারেটর সার্ভিসও। ফলে বন্ধ রয়েছে সকল ধরনের চিকিৎসাসেবা।
বিদ্যুৎহীন থাকলেও হাসপাতালটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তাদের দাবি- এ বিষয়ে কথা বললে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরাগভাজন হতে হবে।
হাসপাতালটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। তারা হাসপাতালটিতে দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ না থাকার কথা স্বীকার করেছেন। একই সঙ্গে তারা এটাও জানিয়েছেন, কতক্ষণে বিদ্যুৎব্যবস্থা ঠিক হবে তা বলা যাচ্ছে না।
তবে এ বিষয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহিদুল গনি রোববার দুপুরে বলেন, ‘ ৪০ ঘণ্টা নয়, শনিবার সকাল থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় সমস্যা তো হচ্ছেই। আশা করি ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। ডেসকোতেও বারবার যোগাযোগ করা হচ্ছে। আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে।’
‘দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ নেই, এতে রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে এবং তারা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভোগান্তি তো হচ্ছেই। তবে ভোগান্তি যাতে কম হয় সে জন্য জেনারেটর দিয়ে কীভাবে তা কমানো যায় সে চেষ্টাও করছি। আশা করি সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।’
জানা গেছে, বিদ্যুৎ-এর অভাবে বন্ধ রয়েছে চিকিৎসাসেবা। করানো যাচ্ছে না কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। গোসল, খাওয়া-দাওয়া এমনকি শৌচকর্মও বন্ধ রয়েছে রোগী ও তাদের স্বজনদের। কোনো রকম শুকনা খাবার খেয়ে থাকছেন তারা। ইতোমধ্যে এ দুর্ভোগ সহ্য করতে না পেরে অনেকেই ছেড়েছেন হাসপাতাল।
সূত্র জানায়, শনিবার থেকেই হাসপাতাল প্রশাসন আশ্বাস দিচ্ছে শিগগিরই বিদ্যুৎ চলে আসবে। কিন্তু প্রশাসনের এমন আশ্বাসের পরও বিদ্যুৎ আসেনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক রোগী বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) থেকেই হাসপাতালের প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে বিদ্যুৎ কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসবে। কিন্তু এখনো তার কোনো আভাসই পাওয়া যাচ্ছে না।’
হাসপাতালের অনেক কর্মকর্তা এ বিষয়ে প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলতে অপরাগত প্রকাশ করেন। তারা বলেন, ‘আপনারা তো নিজেরাই দেখতে পারছেন এখানে কী হচ্ছে। আমরা আর কী বলবো? আমাদের তো চাকরি করে খেতে হবে।



This post has been seen 407 times.

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১