দেশে শিয়া এবং সুন্নি সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি

প্রকাশিত: ২:২৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০১৬

দেশে শিয়া এবং সুন্নি সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি

156129_1

নিউ সিলেট ডেস্ক :: শিয়া এবং সুন্নি সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি বলেই বনে করছেন শিয়া নেতারা। প্রত্যাশা করা হচ্ছে এবারো তাদের উপস্থিতি থাকবে।

গত বছর তাজিয়া মিছিলের ওপর হামলা হলেও সুন্নি সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্কে কোনো সমস্যা হয়নি বলেই মনে করছে তারা।

বুধবারের তাজিয়া মিছিলে সুন্নিদেরও স্বতঃফূর্ত অংশগ্রহণ আশা করছেন সুন্নি নেতারা।
ঢাকায় শিয়াদের প্রধান ধর্মীয় স্থান হোসাইনী দালান ইমামবাড়ার অন্যতম সংগঠক ফিরোজ হোসাইন বলছেন, গত বছরে তাদের তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলার পরিণতিতে শিয়া-সুন্নিদের মধ্যে সম্পর্কের কোনো ক্ষতি হয়নি।

তিনি বলেন, শিয়া এবং সুন্নিরা, আমরা প্রতিবেশী হিসেবে আন্তরিকতা নিয়েই বসবাস করছি। আমাদের সম্পর্কে কোনো চিড় ধরেনি।

বুধবারের তাজিয়া মিছিলে সুন্নিদের স্বতঃফূর্ত অংশগ্রহণ আশা করছেন ঢাকার শিয়া নেতারাও।

শিয়ারা বরাবরের মতো এবারো ১০ই মহররমের কয়েকদিন আগে থেকেই আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছেন। দুদিন ধরে তারা তাজিয়া মিছিল করছেন।

দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে এসব অনুষ্ঠানে অংশ নেন পুরান ঢাকার আব্দুস সালাম। তিনি মনে করেন,এবার তাদের তাজিয়া মিছিলে সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণ গত বছরের বোমা হামলার জবাব দেয়া হয়েছে।

বুধবারের মুল তাজিয়া মিছিলেও মানুষের ব্যাপক অংশ গ্রহণ হবে বলে তার ধারণা।

গত বছরের বোমা হামলার ঘটনার প্রেক্ষাপটে তাজিয়া মিছিলের সময় এবার ঢাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে।

ওই সময় ঢাকার হোসাইনী দালান ইমামবাড়ায় তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় জঙ্গিদের বোমা হামলায় দুই জন নিহত হয়।

হোসাইনী দালান ইমামবাড়াকে ঘিরে পুরো এলাকায় পুলিশ ও র্যা বের ব্যাপক উপস্থিতি চোখে পড়ছে।

এমনকি এই ইমামবাড়ার চারপাশে উঁচু ভবনগুলোতেও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গেটে পুলিশ র্যামবের তল্লাশির পরই এর চত্বরে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে।

শিয়ারা তাদের প্রথা অনুযায়ী ৯ই মুহররম মধ্যরাতের পর তাদের মুল তাজিয়া মিছিল বের করতেন এবং পরদিন দিনের বেলাতেও তা আবার বের করা হতো।

কিন্তু এবার নিরাপত্তার কারণে রাতে এবং ভোরে কোনো মিছিল করা হচ্ছে না। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর পক্ষ থেকে সকাল দশটা থেকে তাজিয়া মিছিলগুলো করতে বলা হয়েছে।

তাজিয়া মিছিলে শিয়াদের অনেকেই ছুরি বা চাকু দিয়ে নিজের শরীরে আঘাত করে রক্ত বের করতেন।এবার ছুরি-চাকু-ব্লেড নেয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ওই অঞ্চলের পুলিশের উপ-কমিশনার মো. ইব্রাহিম খান বলছিলেন, শিয়া নেতাদের সাথে আলোচনা করেই তারা কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করেছেন।

শিয়া নেতাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় দুই লাখের মতো শিয়ার বসবাস। আর সারাদেশে শিয়াদের সংখ্যা দশ লাখের মতো।

বিবিসি অবলম্বনে



This post has been seen 475 times.

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১