রামপাল নিয়ে ‘কান্নাকাটি’ অথচ মোংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল বন্ধ কেউ কথা বলেনা

প্রকাশিত: ২:১৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০১৬

নিউ সিলেট ডেস্ক::: সুন্দরবনের ভেতরের শ্যালা নদী দিয়ে আর নৌ যান চলাচল করতে হবে না। বিকল্প পথ মোংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চ্যানেলটি উদ্বোধন করেন তিনি।

এই চ্যানেলটি চালু হওয়ায় সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে নৌ যান চলাচল বন্ধ হওয়ার পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি প্রায় নৌ যানগুলোর প্রায় ৮৬ কিলোমিটার ঘুরে মোংলা বন্দরে আসতে হবে না। এতে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে শ্যালা নদীতে তেলবাহী নৌযান ডুবির ঘটনায় সুন্দরবনের পরিবেশের ওপর প্রভাব নিয়ে রীতিমত আতঙ্ক ছড়ায়। এরপর মোংলা ঘষিয়াখালী চ্যানেলটি খননের প্রয়োজনীয়তা আরও বড় হয়ে দেখা দেয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই নৌপথ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সস্তায় পণ্য পরিবহন এই পথেই হয়ে থাকে। …এই চ্যানেল চালু হওয়ায় ‍সুন্দরবনের ভেতরের শ্যালা নদী দিয়ে আর নৌযান চলাচল করতে হবে না। এই নদী ডলফিনের যেমন অভয়াশ্রম, তেমনি এই নদীতে পানি খেতে আসে বাঘ। পাশাপাশি বনের আরও অসংখ্য প্রাণীর অভয়াশ্রম এই নদী তীরের পাশের সুন্দরবন। ফলে এই চ্যানেলটি চালু হওয়ায় বন্যপ্রাণীর সুবিধা হবে। পরিবেশও রক্ষা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সুন্দরবন আমাদের সম্পদ, সুন্দরবন আছে বলেই ঝড়, জলোচ্ছাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে আমাদেরকে রক্ষা করেছে।… এ জন্যই সুন্দরবনের ভেতরের শ্যালা নদী দিয়ে যেন বেশি জাহাজ না আসে, সে জন্যই এই ব্যবস্থাটা আমরা করে দিয়ছি।
এই অনুষ্ঠানে সুন্দরবনের থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধীদেরও এক হাত নেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, তারা পরিবেশ রক্ষার কথা বলে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে ‘কান্নাকাটি’ করলেও কেন মোংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল বন্ধ নিয়ে কথা বলেননি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ১৪ কিলোমিটার দূরে পাওয়ার প্ল্যান্ট করছি, আমাদের পরিবেশবিদরা সেটা নিয়ে কেঁদে মরে, আর যে ঘষিয়াখাল যে বন্ধ করে দেয়া হলো আর ২৩৪টি সংযোগ খালের মুখ যে বন্ধ করে চিংড়ি চাষ করা হলো…ঠিক যে জায়গাটা সুন্দরবনের প্রাণীদের অভয়াশ্রম, সে জায়গাটা যে নষ্ট হলো সেটা নিয়ে আমাদের পরিবেশবাদীদের টু শব্দটি করতে আমি কিন্তু শুনিনাই। অথচ এটা সুন্দরবনের ভেতরের ঘটনা। ১৪ কিলোমিটার দূরের ঘটনা নিয়ে কান্নাকাটি তাদের আর যেটা ভেতরের সমস্যার সৃষ্টি করা হয়েছিল সেটা নিয়ে তাদের কোনো কান্নাকাটিও শুনিনি, আন্দোলনও শুনিনি, সমালোচনাও শুনিনি, কেউ কোনো কথা বলেনওনি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই চ্যানেলটি চালু রাখতে প্রতি বছর ড্রেজিং করতে হবে। এ জন্য ড্রেজারগুলো সব সময় সেখানে মজুদ রাখতে হবে। প্রতি শীতের শুরুতেই এই খনন শুরু হবে। তিনি বলেন, ‘কেবল এই চ্যানেল নয়. বাংলাদেশের নদীপথগুলো সচল রাখতে হলে প্রতি বছর ‘মেইনটেইনেন্স ড্রেজিং’ দরকার। এ জন্য পর্যাপ্ত ড্রেজার সংগ্রহ করা হবে।
এর আগে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহাজান খান জানান, ১৯৭২ থেকে ৭৪ পর্যন্ত এই চ্যানেলটি খনন করা হয়েছে। এর আগে নৌযান সব চলাচল করতো সুন্দরবন দিয়ে। এরপর এই মংলা ঘষিয়াখালী চ্যানেল দিয়ে জাহাজ চলাচল শুরু হয়। কিন্তু ১৯৮০ সালে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত ৮৩ খালের মুখ বন্ধ করে চিংড়ি চাষসহ নানা কাজে ব্যবহার শুরু হয়। ফলে পলি পড়ে ২০০১ সালে এই চ্যারেলে নৌ চলাচল আশিংক ও ২০১০ সালে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়।
মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার পর এই চ্যানেল খনন শুরু হয়। এখন চ্যানেলটি চালু হয়ে যাওয়ায় সুন্দরবনের ওপর দিয়ে নৌ চলাচল বন্ধ হয়েছে। এতে মোংলা বন্দরে যেতে ৮৮ কিলোমিটার দূরত্ব কমেছে।
অনুষ্ঠানে দেখানো এক ভিডিওতে দেখা যায়, খনন হওয়ায় এখন জোয়ারের সময় চ্যানেলটিতে ১৪ থেকে ১৭ ফুট পানি থাকে। এখন দিনে ১২ থেকে ১৪ ফুট ড্রাফটের গড়ে ১১০টি নৌযান চলাচল করছে।
ওই ভিডিওতে বলা হয় মোংলা ঘষিয়াখালী চ্যানেলটিকে কার্যকর রাখতে হলে এর সংযোগ ৮৩টি খালও খনন করা প্রয়োজন। পাশাপাশি ওড়াবুনিয়া বিল, পেড়ীখালী ও ভোগলাডাঙ্গা বিলে তিনটি টাইটাল (জোয়ার-ভাটা) বেসিন তৈরি এবং মেইনটেনেন্স ড্রেসিং করা প্রয়োজন।
নৌমন্ত্রী শাহাজান খান বলেন, তারা আশা করছেন এই কাজে তার মন্ত্রণালয়কে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও হেসে তার সম্মতির কথা জানান।

সুন্দরবনে জাহাজ চলাচল বন্ধ, মোংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল চালু
সুন্দরবনের ভেতরের শ্যালা নদী দিয়ে আর নৌ যান চলাচল করতে হবে না। বিকল্প পথ মোংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চ্যানেলটি উদ্বোধন করেন তিনি।
এই চ্যানেলটি চালু হওয়ায় সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে নৌ যান চলাচল বন্ধ হওয়ার পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি প্রায় নৌ যানগুলোর প্রায় ৮৬ কিলোমিটার ঘুরে মোংলা বন্দরে আসতে হবে না। এতে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে শ্যালা নদীতে তেলবাহী নৌযান ডুবির ঘটনায় সুন্দরবনের পরিবেশের ওপর প্রভাব নিয়ে রীতিমত আতঙ্ক ছড়ায়। এরপর মোংলা ঘষিয়াখালী চ্যানেলটি খননের প্রয়োজনীয়তা আরও বড় হয়ে দেখা দেয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই নৌপথ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সস্তায় পণ্য পরিবহন এই পথেই হয়ে থাকে। …এই চ্যানেল চালু হওয়ায় ‍সুন্দরবনের ভেতরের শ্যালা নদী দিয়ে আর নৌযান চলাচল করতে হবে না। এই নদী ডলফিনের যেমন অভয়াশ্রম, তেমনি এই নদীতে পানি খেতে আসে বাঘ। পাশাপাশি বনের আরও অসংখ্য প্রাণীর অভয়াশ্রম এই নদী তীরের পাশের সুন্দরবন। ফলে এই চ্যানেলটি চালু হওয়ায় বন্যপ্রাণীর সুবিধা হবে। পরিবেশও রক্ষা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সুন্দরবন আমাদের সম্পদ, সুন্দরবন আছে বলেই ঝড়, জলোচ্ছাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে আমাদেরকে রক্ষা করেছে।… এ জন্যই সুন্দরবনের ভেতরের শ্যালা নদী দিয়ে যেন বেশি জাহাজ না আসে, সে জন্যই এই ব্যবস্থাটা আমরা করে দিয়ছি।
এই অনুষ্ঠানে সুন্দরবনের থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে বাগেরহাটের‡ বিরোধীদেরও এক হাত নেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, তারা পরিবেশ রক্ষার কথা বলে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে ‘কান্নাকাটি’ করলেও কেন মোংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল বন্ধ নিয়ে কথা বলেননি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ১৪ কিলোমিটার দূরে পাওয়ার প্ল্যান্ট করছি, আমাদের পরিবেশবিদরা সেটা নিয়ে কেঁদে মরে, আর যে ঘষিয়াখাল যে বন্ধ করে দেয়া হলো আর ২৩৪টি সংযোগ খালের মুখ যে বন্ধ করে চিংড়ি চাষ করা হলো…ঠিক যে জায়গাটা সুন্দরবনের প্রাণীদের অভয়াশ্রম, সে জায়গাটা যে নষ্ট হলো সেটা নিয়ে আমাদের পরিবেশবাদীদের টু শব্দটি করতে আমি কিন্তু শুনিনাই। অথচ এটা সুন্দরবনের ভেতরের ঘটনা। ১৪ কিলোমিটার দূরের ঘটনা নিয়ে কান্নাকাটি তাদের আর যেটা ভেতরের সমস্যার সৃষ্টি করা হয়েছিল সেটা নিয়ে তাদের কোনো কান্নাকাটিও শুনিনি, আন্দোলনও শুনিনি, সমালোচনাও শুনিনি, কেউ কোনো কথা বলেনওনি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই চ্যানেলটি চালু রাখতে প্রতি বছর ড্রেজিং করতে হবে। এ জন্য ড্রেজারগুলো সব সময় সেখানে মজুদ রাখতে হবে। প্রতি শীতের শুরুতেই এই খনন শুরু হবে। তিনি বলেন, ‘কেবল এই চ্যানেল নয়. বাংলাদেশের নদীপথগুলো সচল রাখতে হলে প্রতি বছর ‘মেইনটেইনেন্স ড্রেজিং’ দরকার। এ জন্য পর্যাপ্ত ড্রেজার সংগ্রহ করা হবে।
এর আগে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহাজান খান জানান, ১৯৭২ থেকে ৭৪ পর্যন্ত এই চ্যানেলটি খনন করা হয়েছে। এর আগে নৌযান সব চলাচল করতো সুন্দরবন দিয়ে। এরপর এই মংলা ঘষিয়াখালী চ্যানেল দিয়ে জাহাজ চলাচল শুরু হয়। কিন্তু ১৯৮০ সালে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত ৮৩ খালের মুখ বন্ধ করে চিংড়ি চাষসহ নানা কাজে ব্যবহার শুরু হয়। ফলে পলি পড়ে ২০০১ সালে এই চ্যারেলে নৌ চলাচল আশিংক ও ২০১০ সালে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়।
মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার পর এই চ্যানেল খনন শুরু হয়। এখন চ্যানেলটি চালু হয়ে যাওয়ায় সুন্দরবনের ওপর দিয়ে নৌ চলাচল বন্ধ হয়েছে। এতে মোংলা বন্দরে যেতে ৮৮ কিলোমিটার দূরত্ব কমেছে।
অনুষ্ঠানে দেখানো এক ভিডিওতে দেখা যায়, খনন হওয়ায় এখন জোয়ারের সময় চ্যানেলটিতে ১৪ থেকে ১৭ ফুট পানি থাকে। এখন দিনে ১২ থেকে ১৪ ফুট ড্রাফটের গড়ে ১১০টি নৌযান চলাচল করছে।
ওই ভিডিওতে বলা হয় মোংলা ঘষিয়াখালী চ্যানেলটিকে কার্যকর রাখতে হলে এর সংযোগ ৮৩টি খালও খনন করা প্রয়োজন। পাশাপাশি ওড়াবুনিয়া বিল, পেড়ীখালী ও ভোগলাডাঙ্গা বিলে তিনটি টাইটাল (জোয়ার-ভাটা) বেসিন তৈরি এবং মেইনটেনেন্স ড্রেসিং করা প্রয়োজন।
নৌমন্ত্রী শাহাজান খান বলেন, তারা আশা করছেন এই কাজে তার মন্ত্রণালয়কে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও হেসে তার সম্মতির কথা জানান।



This post has been seen 572 times.

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১