মেঘালয়ে গরু ইস্যুতে বিজেপির দুই নেতার ইস্তফা

প্রকাশিত: ৩:১৩ অপরাহ্ণ, জুন ২, ২০১৭

মেঘালয়ে গরু ইস্যুতে বিজেপির দুই নেতার ইস্তফা

নিউ সিলেট ডেস্ক :  মেঘালয়ের পশ্চিম গারো হিলস জেলার বিজেপির সাবেক সভাপতি বার্নার্ড এন মারাক ‘বিফ পার্টি’র ঘোষণা দিয়ে দল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমি আগে একজন খ্রিস্টান ও গারো, পরে দলীয় কর্মী। বিজেপি স্থানীয় মানুষের আবেগে আঘাত দিয়েছে। আদিবাসী মানুষদের নিজস্ব রীতি রয়েছে।
বার্নার্ড বলেন, বিজেপি আদিবাসী ও খ্রিস্টানদের ওপর ‘হিন্দুত্ব’ চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে। তাদের মতাদর্শ আমাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। সরকারের তিন বছর পূর্তি নিজেদের মতো করে উদযাপন করতে চেয়ে কী ভুল করেছি?
এএনভিসি গেরিলা সংগঠনের সাবেক নেতা ও বর্তমানে বিজেপি নেতা বার্নার্ড মারাক সম্প্রতি বলেন,  বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে গরুর গোশত নিষিদ্ধ হবে না বরং তা আরও সস্তা করা হবে। মারাক সম্প্রতি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় সরকারের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে ‘বিফ অ্যান্ড বিচি পার্টি’ করবেন বিজেপি নেতারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওই ঘোষণা দেন তিনি। এরপরেই মেঘালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা নলিন কোহলি বলেন, বিজেপি শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। দলীয় অনুশাসনের ঊর্দ্ধে উঠে দলের ভাবমূর্তি খারাপ করা চলবে না। তিনি বার্নার্ডের জবাবদিহি তলব করেন। কিন্তু বার্নার্ড কোনো জবাবদিহির পথে না হেঁটে বৃহস্পতিবার দল থেকে ইস্তফা দেন।
বার্নার্ড বলেন, পূর্বোত্তর রাজ্যে আদিবাসী লোকজনের উৎসব পালন করা এবং খাবার খাওয়ার নিজস্ব ঐতিহ্য রয়েছে। গারো হিলসে উৎসব পালনের সময় গরু জবাই করা হয়। এজন্য আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের তিন বছর পূর্তি উৎসবে ‘বিফ পার্টি’র আয়োজন করতে চেয়েছিলাম।
ক্ষুব্ধ বার্নার্ড বলেন, এরকম রাজনৈতিক দলের অংশ হয়ে থাকার কোনো মানে নেই, যারা আমাদের গারো ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে চায় না। বিজেপি তাদের খাদ্যাভ্যাসকে বন্ধ করতে পারবে না বলেও তিনি চ্যালেঞ্জ জানান। খ্রিস্টান অধ্যুষিত মেঘালয়ে গারো, খাসি এবং জয়ন্তী আদিবাসীরা গরুর মাংস খেয়ে থাকেন। রাজ্যটিতে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গরুর গোশত খাওয়া হয়।
বার্নাড বলেছেন, বিজেপি গারো পাহাড়ে দ্রুত প্রভাব বিস্তার করছিল। কিন্তু গরুর মাংস বিতর্কের পরে তাতে ভাটা পড়েছে। অনেকেই দল ছাড়ার কথা ভাবছে। তারা দাবি অনুসারে মেঘালয়ে বিজেপিতে কার্যত ভাঙন শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি জবাইয়ের উদ্দেশ্যে হাট থেকে গবাদি পশু কেনাবেচা নিষিদ্ধ করে নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার। এরপরেই বিভিন্ন রাজ্যে ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, কেরালাসহ অন্য কয়েকটি রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে তারা কেন্দ্রীয় সরকারের ওই নির্দেশ মানবেন না। এরকম পরিস্থিতিতে গরুর মাংস নিয়ে বিজেপি’র আভ্যন্তরেই বিদ্রোহের সুর সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে মেঘালয়ের উত্তর গারো হিল বিজেপির তদানীন্তন জেলা সভাপতি বাচ্চু মারাক একই কারণে বিজেপি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।dt/ns/-



This post has been seen 198 times.

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮