বন্দি নির্যাতনের রোমহর্ষক বর্ণনা শিশু জঙ্গির মুখে

প্রকাশিত: ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০১৭

বন্দি নির্যাতনের রোমহর্ষক বর্ণনা শিশু জঙ্গির মুখে

নিউ সিলেট ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রাক্তণ এক শিশু জঙ্গি ন্যাটো সম্মেলনে শিশুদের কিভাবে এ সংগঠনে যুক্ত করা হয়, যুদ্ধ ও হত্যার প্রশিক্ষণ দেয়া হয় তার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে। শনিবার লাটভিয়ায় নিরাপত্তা বিষয়ক ন্যাটোর এক সম্মেলনে আইএস থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া ১৫ বছর বয়সী সংগঠনটি নিয়ে নানা অভিজ্ঞতার কথা বলে। ১৩ বছর বয়সে আইএসের সাথে যোগ দেয় বলে জানায় সে। নাম ও পরিচয় প্রকাশ না করা এ প্রাক্তন আইএস সদস্য উক্ত সম্মেলনে বক্তব্য রাখে। তরুণদের কিভাবে সংগঠনে যুক্ত করে আইএস এ বিষয়ে জানতে এক সম্মেলনে যোগ দেন ন্যাটো সদস্যদের প্রতিনিধিরা।  শিশুটি জানায়, ‘একটি গোপন ঘাঁটিতে মাত্র এক মাসের সামরিক প্রশিক্ষণ নেয় সে। সেখানে সিনিয়র যোদ্ধারা তরুণদের বর্বরোচিত কাজে যুক্ত করার জন্য নানা ধরণের কৌশল নির্ধারণে নিযুক্ত ছিল। সে আরো জানায়,’অস্ত্র নিয়ে অনেক ধরণের প্রশিক্ষণ দেয়া হত এখানে। প্রকৃত অস্ত্র হাতে নিতে গিয়ে কেউ যদি দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায় তাহলে তারা তার হাত অস্ত্রের ব্যারেলে এমনভাবে চেপে ধরত আঙ্গুলগুলো ভেঙ্গে যেত।’ কিভাবে একটি শিশুকে হত্যাকান্ডের প্রশিক্ষণ দেয়া হত সেটার প্রত্যক্ষদর্শীতার কথাও জানায় সে, ‘তারা একটি শিশুকে ট্রাকের মধ্যে তুলে নিয়েছিল এবং তাকে বলেছিল যে সে একজন কাফেরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাচ্ছে। তার হাতে একটি ছুরি দিয়ে তারা বন্দীর কাছে নিয়ে গেল। এভাবে হাত বাঁধা বন্দীকে শিরোচ্ছেদ করা হয়েছিল। এ সময় কয়েকজন উদ্বিগ্ন হয়ে হয়ে পড়লেও তারা নিরব থাকে তবে কাউকে যখন মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, সবাই খুশি প্রকাশ করে এবং ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি দেয়।’
এভাবে নীতি নির্ধারক, গবেষক ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সম্মেলনে এ শিশুর মুখে শুনছিলেন উপস্থিতিতে বন্দীদের ওপর আইএসের নির্যাতনের নানা ঘটনা। ‘তারা খাঁচার মধ্যে ৫/৬ বন্দীকে ঢুকিয়ে ডুবে যাওয়ার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত পানিতে খাঁচাটি নামিয়ে আনা হত আবার তোলা হত। এভাবে তাদের ওপর নির্যাতন চলত। কেউ তাদেরকে চিনত না, জানতো না তারা কে।’ দীক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও জঙ্গিদের এসব নৃশংস কর্মকান্ড তাকে আইএসের বিরুদ্ধে নিয়ে যায়। সে জানায়, ‘আমি জানতাম যে, ছোট বড় এসব মানুষকে আসলে হত্যা করা হচ্ছে এবং তা অন্যায়। আমি আমার দেশকে হারিয়েছি, সব কিছু। এ সংগঠন সম্পর্কে শিশুদের সতর্ক করতে সে আহবান করে, ‘আমি এই সংগঠনে যোগদান না করার জন্য বিশ্বের সব শিশুকে বলবো, এরা মুসলিম নয়, তারাই ধর্ম অবিশ্বাসী যারা নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে। তারা মুসলিম হতে ভান করে কিন্তু তারা শুধু আত্মঘাতী হামলা করার শিক্ষা দেয় এবং আপনাকে বলে যে আপনি জান্নাতে যাচ্ছেন – কিন্তু কিছুই তা সত্য নয়।’ সূত্র: দ্য এন আরব



This post has been seen 232 times.

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮