মসুলে বিজয় উদযাপনে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০১৭

মসুলে বিজয় উদযাপনে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী

নিউ সিলেট ডেস্ক : ইরাকের বৃহত্তম শহর মসুলে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে বিজয়ে দেশটির সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানাতে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি সেখানে ছুটে যান। ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মসুলকে ‘মুক্ত’ ঘোষণা করে বাহিনীর বিজয় সূচিত করতেই তিনি সেখানে গেছেন।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিমান হামলার সাহায্য নিয়ে ইরাকি সেনাবাহিনী গত বছরের ১৭ অক্টোবর থেকেই মসুলের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার জন্য লড়াই চালাচ্ছিল। ২০১৪ সালের জুন মাসে ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিরা ওই শহরটি দখল করে নেয় এবং ইরাক ও সিরিয়া জুড়ে এক ‘খিলাফত’ স্থাপনের ঘোষণা দেয়। কুর্দি পেশমেরগা, সুন্নি আরব উপজাতীয় যোদ্ধা ও শিয়া মিলিশিয়ারাও এই মসুল পুনদর্খলের লড়াইয়ে যুক্ত ছিল।
রবিবার মসুলে ইসলামিক স্টেটের চূড়ান্ত পরাজয়ের পরই সেনাবাহিনী ও ইরাকি জনতাকে অভিনন্দন জানাতে প্রধানমন্ত্রী সেখানে এসে পৌঁছেছেন বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। মসুলের ওল্ড সিটি -র কাছে একটি ছোট্ট এলাকায় ইসলামিক স্টেটের জিহাদিরা মাটি আঁকড়ে পড়ে ছিল। সেই ক্ষুদ্র পকেটগুলো দখল করতেই ইরাকি সেনারা গত কয়েকদিন ধরে লড়াই চালাচ্ছিল। রবিবারেও গোলাগুলির বিক্ষিপ্ত আওয়াজ শোনা গেছে মসুলের নানা প্রান্তে, ধোঁয়ার কুন্ডলী আকাশে পাকিয়ে উঠেছে।
সরকারি মিডিয়া জানায়, ইরাকি সেনার অভিযানের মুখে ৩০ জন ইসলামিক স্টেট জঙ্গি টাইগ্রিস নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালাতে গিয়ে মারা পড়েছে। ইরাক সরকার গত জানুয়ারিতেই ঘোষণা করেছিল মসুলের পূর্বপ্রান্ত পুরোপুরি মুক্ত হয়ে গেছে। কিন্তু শহরের পশ্চিমাঞ্চল, যেখানে সরু ও আঁকাবাঁকা বহু রাস্তা আছে, সেটাই সেনাদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছিল।
ত্রাণ সংস্থাগুলোর হিসাবে, ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মসুল থেকে প্রায় নয় লাখ মানুষ পালিয়েছেন। যুদ্ধের আগে শহরটির যে জনসংখ্যা ছিল, এটি তার প্রায় অর্ধেক। তবে মসুলের পতন মানেই ইরাকে ইসলামিক স্টেট শেষ হয়ে গেল তা নয়। কারণ এখনও দেশের অনেক এলাকা তাদের কব্জায় আছে, সরকার-নিয়ন্ত্রিত এলাকাতেও তারা বোমা হামলা চালানোর ক্ষমতা রাখে। মসুলে ইরাকি সেনার বিজয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। আন্তর্জাতিক জোটের যে সেনারা মসুল বিজয়ে সাহায্য করেছে, তার মধ্যে ফরাসি সেনারাও ছিল। তিন বছর আগে জঙ্গিদের হাতে তাদের যে শোচনীয় পরাজয় হয়েছিল, ইরাকি সেনাবাহিনী অবশেষে তার বদলা নিতে পারলেও এর জন্য তাদের বিরাট দাম দিতে হয়েছে। হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ এই যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন। মসুল শহরের বেশিটাই ধ্বংস হয়ে গেছে। সবচয়ে বড় কথা, ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর দিক থেকে হামলা চালানোর আশঙ্কাও রয়ে গিয়েছে পুরো মাত্রায়। ধারণা করা হচ্ছে, জঙ্গীরা এখন আত্মগোপন করবে এবং গেরিলা কায়দায় মসুল এবং ইরাকের অন্যান্য জায়গায় হিট-অ্যান্ড-রান ধাঁচে হামলা চালাবে।



This post has been seen 227 times.

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮